নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তার জেরে বৃষ্টি চলছে দিঘাতেও। শনি এবং রবি প্রায় দিনভর বৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। রবিবার পূর্ণিমার কটাল ছিল। ফলে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস ছিল ব্যাপক। সোমবারও দেখা যায় সেই একই ছবি। বৃষ্টির জেরে জল জমে যায় নিচু এলাকাগুলিতে। তবে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কিছুটা কম ছিল। ঢেউ গার্ডওয়াল টপকাতে পারেনি। বেলা বাড়তেই অবশ্য ভিন্ন ছবি দেখা যায় দিঘায়। কিছুটা কমে যায় বৃষ্টির দাপট। সেই সময় সমুদ্রতটে ভিড় জমান পর্যটকরা। দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস লাগামছাড়া ভিড় থাকলেও, এই সপ্তাহে পর্যটকের চাপ কিছুটা কম দিঘায়। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে এবং উত্তাল ঢেউয়ে স্নান করতে নামলে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশাসনের তরফে সোমবারও পর্যটকদের নিষেধ করা হয়েছে সমুদ্রে নামতে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর-সহ সর্বত্রই সমুদ্রস্নানে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নুলিয়া, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশকর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন সৈকত জুড়ে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বাঁধের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, উত্কর্ষ বাংলা প্রকল্পে যারা কারিগরি শিক্ষা নিয়েছিলেন সেরকম ১০ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় ওইসব পড়ুয়ারা চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও আইটিআই এর মতো কারিগরি শিক্ষায় যারা সর্বভারতীয় স্তরে ভালো ফল করেছেন তাদের হাতে ট্রফি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি ইন্ডোরে এক সভায় মমতা আজ বলেন, ক্ষমতায় আসার পরই স্বপ্ন দেখেছিলাম বাংলা একদিন বিশ্বসেরা হবে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, কন্য়াশ্রীতে সারা পৃথিবীতে ইউনাইটেড নেশনের পুরস্কার আমরাই পেয়েছি। কন্যাশ্রী আমাদের গর্বের। কয়েক দিন আগে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। আরও একটা খেতাব আমাদের ঘরে এসেছে। সেটি হল বাংলাকে কালচারাল ডেস্টিনেশন হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ মার্চ এর জন্য পুরস্কার দেওা হবে। ওই পুরস্কার নিতে আমি যাব। গতকালও একটি খবর এসেছে। নিম্নস্তরের যে শিক্ষা তাতে বাংলা দেশে প্রথম হয়েছে।