খোলাখুলি জবাবে বিদ্যা বালান

Biswas Riya

সম্প্রতি ‘মিশন মঙ্গল’ এ কাজ করেছেন বিদ্যা বালান। এই কাজের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি জানান “ইট ওয়াজ় আ মিশন ইটসেল্ফ (হেসে)! ‘বেগমজান’-এর পরে ফের এত অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করলাম। ওখানে পটভূমি অন্য ছিল। এই ছবিতে মহিলারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। কারও মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা নেই। আমরা সেটে একে অপরকে দেখে কমপ্লিমেন্ট দিতাম। ব্যক্তিগত ভাবে পরস্পরকে চিনতাম, তা নয়। কিন্তু কাজের মধ্য দিয়ে সবাইকে চিনেছি। অক্ষয়ের সঙ্গে ১২ বছর পরে কাজ করলাম। ওর সঙ্গে সম্পর্কটা বদলায়নি। অক্ষয় বলত, ‘তোমার মতো বদমাইশ আর দু’টি নেই।’ হেসে ওকে জবাব দিয়েছিলাম, ‘শিখেছি কার কাছ থেকে?’ অক্ষয়ের বাড়ি থেকে সেটে রোজ দারুণ খাবার আসত সকলের জন্য”।

চল্লিশের জীবন নিয়ে তাঁর মত “জীবন আগের চেয়ে অনেক বেশি উপভোগ করছি এখন। বয়স ও অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে, নিজের উপরে যেন ভরসা না হারাই। যত বেশি নিজের খুঁত মেনে নিতে পারব, পরিস্থিতির সঙ্গেও তত বেশি করে মানিয়ে নিতে পারব”। 

মিড লাইফ ক্রাইসিস সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য “আমাদের প্রত্যেক মাসে ক্রাইসিস আসে (হেসে)। মেয়েদের মিড লাইফ ক্রাইসিস শুরু হয় মেনোপজ়ের সময় থেকে। তবে এখন সকলে খোলাখুলি কথা বলেন। কয়েক বছর আগেও বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। আমার এক মাসি ছিলেন, তাঁর মেনোপজ়ের সময়ে ওই বিষয়ে কথাবার্তা হয়নি। তিনি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন”।

নায়িকাদের জিরো ফিগার নিয়ে তাঁর বক্তব্য “এই ধারণা তো বরাবরের। পুরুষদের অল্পবয়সি মেয়ে পছন্দ। আগে ৩৫ বছর বয়সে দু’তিনটে বাচ্চার মা হয়ে সংসারে ব্যস্ত হয়ে যেতেন বেশির ভাগ মহিলা। এখন মেয়েরা পড়াশোনাই করে কত দিন ধরে। তার পরে দেরিতে বিয়ে, বাচ্চাও প্ল্যান করে সুবিধেমতো। কেউ কেউ বাচ্চা চায়ও না। কয়েক বছর হল, নিজের ফিগার নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছি। তার পর থেকে আই ফিল সেক্সি অল দা টাইম”।

তাঁর মতে ছবি হিট হওয়া বা ফ্লপ করা কোনটারই ক্রেডিট তিনি একা নিতে পারেননা।কারণ কোন একজন ছবি তৈরি করেননা।


Find Out More:

Related Articles: