বাবরি মসজিদের বির্তকিত জমির রায় দেওয়ার আগে আজ উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিব ও ডিজিপিকে তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ । আজ শুক্রবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি চেম্বারে রাজ্যের দুই সর্বোচ্চ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন রঞ্জন গগৈ । যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা না গেলেও বলা যেতে পারে বাবরি মসজিদ মামলার রায় বের হওয়ার পর পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানার জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গেছে ।
আগামী ১৭ নভেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রঞ্জন গগৈ। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, অবসর নেওয়ার আগেই তিনি অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়ে যেতে চান। সেই অনুযায়ী তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে প্রতিদিন শুনানি হয়েছে। ৪০ দিন শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রেখেছেন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির অবসরের দিন ১৭ নভেম্বর হলেও তাঁর শেষ কাজের দিন ১৫ নভেম্বর। তাই ১৫ নভেম্বরের আগেই রায় হওয়ার কথা।
এই প্রেক্ষিতেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও পুলিশের দুই শীর্ষ কর্তাকে তলব প্রধান বিচারপতির। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, রায়ের পরে কোনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে অবশ্য বৃহস্পতিবারই জানানো হয়েছিল, চার স্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে অযোধ্যা, সংলগ্ন জেলা এবং গোটা রাজ্য ঘিরে। সেই পরিকল্পনায় কোথাও কোনও খামতি রয়েছে কি না, সে বিষয়েও পুলিশ-প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। লখনউয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার ওই রিভিউ মিটিংয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, অযোধ্যা রায় পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলায় লখনউ ও অযোধ্যায় দু’টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখতে হবে। এ ছাড়া পুলিশ-প্রশাসনের প্রবীণ আধিকারিকদের গ্রামে গিয়ে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে স্পর্শকাতর এলাকায় রাতেও ক্যাম্প করে থাকতে হবে, নির্দেশ আদিত্যনাথের। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতেও কড়া নজর রাখার কথা বলেছেন তিনি।