চন্দ্রযানের মাত্র ৫ শতাংশ খোয়া গিয়েছে, কাজ করে যাবে অরবিটার

Biswas Riya

বিক্রম কি তাহলে পুরোপুরি হারিয়ে গেলো? নাকি প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোন এক সময় সে আবার সঙ্কেত পাঠাতে শুরু করবে? উত্তর নেই কারো কাছেই। তবে এটা হার নয় কোনভাবেই। ভারতের চন্দ্র অভিযানে খরচ হওয়া ৯৭৮ কোটি টাকা অপচয়ও হয়নি, এমনটাই দাবি করছেন ইসরোর এক আধিকারিক।

ঐ আধিকারিক জানিয়েছেন  ‘‘আমাদের চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হয়নি। বড়জোর ৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাকি ৯৫ শতাংশ আমরা সফল।’’ ওই আধিকারিকের স্পষ্ট যুক্তি, বিক্রম ল্যান্ডার বিচ্ছিন্ন হলেও অরবিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। তাই গোটা বছর চাঁদের ছবি পাঠাতে পারবে এই অরবিটারটি। ইসরোর ওই আধিকারিকই জানাচ্ছেন, ল্যান্ডারের ভাগ্যও জানা যেতে পারে ওই অরবিটারের সূত্রেই। সে-ই জানিয়ে দিতে পারে কোথায় রয়েছে বিক্রম। আর সে ছবি হাতে পেলেই বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন, ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার মধ্যরাতে।

চাঁদকে আবর্তন করতে থাকা এই অরবিটারে রয়েছে ‘টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা ২ (টিএমসি ২)।’ এক এক পাকে চাঁদের পিঠের ২০ কিলোমিটার চওড়ার ফিতের মতো এলাকার ছবি তুলতে সক্ষম এই ক্যামেরা। এ ছাড়াও অরবিটারে রয়েছে ‘চন্দ্রযান টু লার্জ এরিয়া সফ‌্ট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (ক্লাস)’, ‘সোলার এক্স-রে মনিটর (এক্সএসএম)’, ‘অরবিটার হাই রেজলিউশন ক্যামেরা (ওএইচআরসি)’, ‘ইমেজিং ইনফ্রা-রেড স্পেকট্রোমিটার (আইআইআরএস)’, ‘ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার (ডিএফএসএআর)’, ‘অ্যাটমোস্ফিয়ারিক কম্পোজিশনাল এক্সপ্লোরার ২ (সিএইচএসিই ২)’ এবং ‘ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়ো সায়েন্স (ডিএফআরএস) নামে একটি পরীক্ষা যন্ত্র।

চন্দ্রযান-২ এর তিনটি অংশ। ল্যান্ডার, রোভার এবং অরবিটার। ল্যান্ডারের কাজ চাঁদের মাটিতে রোভারকে অবতরণ করানো। রোভার চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ ও যাচাই করবে। আর অরবিটার কক্ষ থেকে ছবি পাঠাবে। তবে শুধু তথ্যই পাঠানোই নয়, পৃথিবীর সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগের মূল সেতুও এটি। ওজনে ও শক্তিতে চন্দ্রযান ২-এর তিনটি অংশের মধ্যে অরবিটারই সব চেয়ে এগিয়ে। এটির ওজন ২ হাজার ৩৭৯ কিলোগ্রাম।

 


Find Out More:

Related Articles: