ম্যাচের নায়ক বিরাটকে নিজের কাঁধে তুলে নিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। কয়েক পাক ঘুরলেন। সামনে থাকা হার্দিক তখন চেঁচিয়েই চলেছেন। দলের বাকিরা যে যার মতো করে উল্লাসে ব্যস্ত। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের পর মহম্মদ কাইফের কোলে উঠে পড়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রবিবারের মেলবোর্নে একই দৃশ্য দেখা গেল। রোহিত বললেন, 'বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় জিতে শুরু করা, তা-ও আবার পাকিস্তানের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, এর থেকে ভাল অনুভূতি আর হয় না। আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যাবে এই জয়ের কারণে। যে পরিস্থিতিতে ছিলাম এবং যে ভাবে ম্যাচটা জিতলাম, তাতে এই ম্যাচের মাধুর্য আরও বেড়ে গিয়েছে। মন থেকে বলছি, বিরাটকে টুপি খুলে কুর্নিশ। আমার দেখা ভারতের হয়ে খেলা ওর অন্যতম সেরা ইনিংস।'
অন্যদিকে, ম্যাচের পর নো বল প্রসঙ্গে আম্পায়ারদের তুলোধনা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তার মধ্যে রয়েছেন ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসের মতো জোরে বোলাররা। আক্রম বলেছেন, “বলটা ক্রমশ নীচু হয়ে যাচ্ছিল। খালি চোখে দেখে কখনওই ওটা নো বল মনে হয়নি। ব্যাটে লাগার আগেই বলটা অনেক নীচু হয়ে গিয়েছিল। যে কোনও ব্যাটারই নো বলের দাবি জানাবে। কোহলির কোনও দোষ ছিল না। কিন্তু এত বড় ম্যাচে যেখানে প্রযুক্তি রয়েছে, তা হলে সেটা ব্যবহার করা হোক। কেন ম্যাচটাকে উত্তপ্ত হতে দেওয়া হল?” ওয়াকার জানিয়েছেন, আম্পায়াদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ার কারণেই ম্যাচ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বলেছেন, “বল কোমরসমান উচ্চতায় থাকলে স্কোয়ার লেগ আম্পায়ারের প্রথম কাজই হচ্ছে হাত তুলে নো বলের ইঙ্গিত দেওয়া। উনি (মারাইস ইরাসমাস) অভিজ্ঞ আম্পায়ার। সরাসরি নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। তা না করে তিনি রিপ্লে দেখে এবং কোহলি বলার পর নো বল দিলেন। নো বল ছিল কি না সেই বিতর্কে যেতে চাই না। কিন্তু আম্পায়ারের উচিত ছিল তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া।”