ম্যান সিটির হাতের মুঠোয় প্রিমিয়ার লিগ!

A G Bengali
আগের দুটো ম্যাচ পরপর জেতায় আর্সেনাল সমর্থকদের মধ্যে ক্ষীণ আশার সঞ্চার হয়েছিল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কোনওভাবে একটা ম্যাচ হারে, ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে চলে আসবে তারা। যদিও পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যান সিটি হারার নামই করছে না। রবিবার এভার্টনের বিরুদ্ধেও সহজ ৩-০ জয় পেল তারা। উল্টো ব্রাইটনের বিরুদ্ধে ৩-০ হেরে গেল আর্সেনাল। ফলে এক ম্যাচ বেশি খেলেও সিটির থেকে চার পয়েন্টে পিছিয়ে গেল মিকেল আর্তেতার দল। এখান থেকে খেতাব জয় অসম্ভব, ক্রীড়াজগতের সর্বকালের অন্যতম মিরাকল না হলে চ্যাম্পিয়ন সিটিই।
রবিবার এভার্টনের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করলেন ইলকাই গুন্দোয়ান। আর একটি সেই এর্লিং হালান্ড। এ মরশুমে শুধু প্রিমিয়ার লিগেই ৩৬ গোল হয়ে গেল তাঁর। এখনও চার ম্যাচ রয়েছে তাঁর হাতে। সংখ্যাটা ৪০ পেরলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে গোলসংখ্যা তো ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে আগেই।
বুধবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল ম্যাচ রয়েছে সিটির। রবিবার তাই মাঝমাঠের প্রধান স্তম্ভ কেভিন ডি ব্রুইনাকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন গুয়ার্দিওলা। বিশ্রাম দেন জ্যাক গ্রিলিশ, বার্নার্দো সিলভাকেও। এই তিনজনের জায়গায় খেলেন হুলিয়ান আলভারেজ, ফিল ফোডেন এবং রিয়াদ মাহরেজকে। আলভারেজ আদতে স্ট্রাইকার, তাঁকে মাঝমাঠে খেলানোয় স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না তিনি। তা সত্ত্বেও সহজেই জিতল সিটি। এদিন নায়ক হয়ে উঠলেন গুন্দোয়ান। তাঁর দুটি গোলই বিশ্বমানের। হালান্ডকে গোলের পাসটাও তাঁরই দেওয়া।

এ মরশুমের শুরুতেই কোচ গ্রাহাম পটারকে হারিয়েছিল ব্রাইটন ক্লাব। এরপর অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ডকে কিনে নেয় আর্সেনাল। তা সত্ত্বেও দমে যায়নি দলটা। অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টারের অধিনায়কত্বে এবং রবার্তো দি জার্বির কোচিং সুন্দর ফুটবল খেলছে তারা। হারিয়েছে লিভারপুল, ম্যান ইউ, চেলসির মতো বড় দলকে। এবার আর্সেনালের ঘাতক হয়ে দেখা দিল তারা। আর্তেতার দল সুযোগ পেয়েছে যথেষ্ট কিন্তু হয় তিন কাঠির মধ্যে রাখতে পারেনি আর নয়তো ব্রাইটন গোলকিপার সেভ করে দিয়েছেন।
আর্সেনালের এ ম্যাচ জেতা দরকার ছিল। শুধু এই ম্যাচ নয়, লিগের বাকি সব ম্যাচ। একমাত্র সেভাবেই সিটির উপর একটা মনোস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করতে পারত তারা। কিন্তু এদিন হারের পর উল্টে চাপ সরে গেল। সিটি একটা ম্যাচ হারলেও কিছু যায় আসবে না। এ বছর ঐতিহাসিক ত্রিমুকুট জয়ের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে গুয়ার্দিওলার দলের। একই মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইপিএল এবং এফএ কাপ জয়ের রেকর্ড ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে রয়েছে শুধুমাত্র ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের।

Find Out More:

Related Articles: