মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এরই প্রতিবাদে আবারও সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়াকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে বিজয় চকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন রাহুল-সহ কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান রাহুল। সে সময়ই তাঁকে আটক করা হয়। আটক হওয়ার আগে রাহুল বলেন, ‘‘ভারত পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, মোদী রাজা।’’ রাহুলের পাশাপাশি আটক করা হয়েছে কে সি বেণুগোপাল, অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষনেতাকে। মধ্য দিল্লিতে দলের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।
অন্যদিকে, দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে শপথ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi), উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রন জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে। রবিবার রাতেই রাজধানিতে পৌঁছে যান বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। যদিও তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর অনুপস্থিতি জল্পনা উসকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিহারে (Bihar) বিজেপির সঙ্গে জেডিইউ-এর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে এই ঘটনার পরে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) দল আরজেডি-এর (RJD) সহ-সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারি জানিয়েছেন, বিজেপি এবং জেডিইউতে কী চলছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এখন আর বিজেপিতে আগের মতো স্বচ্ছন্দ নন। তিনি যোগ করেন, শপথ অনুষ্ঠানে না আসার কারণ শুধুমাত্র নিতিশ কুমার এবং বিজেপিই জানে।