রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এবার মুখ্যমন্ত্রী!

A G Bengali
রাজ্যপাল নন, এবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য মুখ্যমন্ত্রী। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে সরকার। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনবে সরকার।’ বিধানসভায় পাস হওয়ার পর, তারপর তা আইন হিসেবে গৃহীত হবে।

ওয়াকিবহলের মতে, আচার্যের পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রী, এটা সম্পূর্ণটাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের যে সমীকরণ, তারই ফলস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত। যদিও জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে এই সুপারিশ করেছিল পুঞ্ছি কমিশন। রাজনাথ সিং ছিলেন সেই কমিশনে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও কেরল এই বিধি গ্রহণ করেছে। ২০০৭ সালে মদনমোহন পুঞ্ছির নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়। ২০১০ সালে কমিটি রিপোর্ট দেয়। কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা সহ একাধিক বিষয়ে সুপারিশ করে কমিটি। একগুচ্ছ সুপারিশের মধ্যে ছিল এই সুপারিশটিও।

অন্যদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তাতে জানানো হয়েছে সমিতির কাজ মসৃণ ভাবে চালনার জন্যই এই বদল। উল্লেখ্য, রোগী কল্যাণ সমিতির নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত সুদীপ্ত শ্রীরামপুরের বিধায়ক। তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও সম্প্রতি নিয়োগ করা হয়েছে সুদীপ্তকে। অন্য দিকে, নির্মলের নাম বার বার জড়িয়েছে বিতর্কে। করোনা অতিমারির সময়ে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন টসিলিজুমাব উধাও হয়ে যায় মেডিক্যাল কলেজ থেকে। সেই বিতর্কে যে চিকিৎসকের নাম জড়িয়েছিল তিনি নির্মল ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে বিতর্কে নাম উঠে আসে নির্মলেরও। পরে, মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে চক্ষু চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র ভেঙে নতুন ট্রমা কেয়ার ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আবারও বিতর্ক দানা বাঁধে নির্মলকে নিয়ে।


Find Out More:

Related Articles: