বিজেপি-র মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবারই কলকাতা হাই কোর্ট জানতে চেয়েছিল বিধাননগর পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার বিষয়ে কী ভাবছে কমিশন। আদালতে কমিশন জানিয়ে দেয় এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা নিয়ে ফেলেছে। কমিশন সূত্রে খবর, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোল পুরভোট রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানেই করানো হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে হয় সে দিকে তারা বিশেষ নজর রাখবে। তবে বিরোধীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি কার্যত নাকচ করে দিয়েছে কমিশন।
জানা গিয়েছে, চার পুরভোটে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে থাকছে কমান্ডো, ইএফআর, এসটিএফ। তা ছাড়া শুক্রবার থেকে স্পর্শকাতর এলাকা ঘুড়ে দেখবে সিআইডি ও আইবি। ১২ ফেব্রুয়ারি চার পুরসভার ভোটের জন্য আলাদা করে এক জন আইজি অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। যার তত্ত্বাবধানে থাকবে রাজ্য পুলিশ। এ ছাড়া নিযুক্ত হচ্ছেন একজন আইএএস পদমর্যাদার বিশেষ পর্যবেক্ষক।
অন্যদিকে, মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজ হবে কি না এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান (PAC Chairman) পদে তিনি থাকবেন কি না, তা নিয়ে শুক্রবারই অবস্থান স্পষ্ট করবে বিধানসভা (West Bengal Assembly)। একই সঙ্গে আজই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়তে পারে বিধানসভার এই রিপোর্ট। সূত্রের খবর, বেলা তিনটের সময়ে ডাকা হল দু-পক্ষকে। তাদের সামনে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের সামনে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।