দিল্লির মিরান্ডা হাউস এবং পরে লন্ডনের কিংস কলেজের প্রাক্তনী সুস্মিতা দেব ছিলেন কংগ্রেসের মহিলা শাখার জাতীয় সভানেত্রী। তাঁকে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা হত। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। এ বার তাঁকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় একটি আসন আপাতত খালি। মে মাসে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মানস ভুঁইয়া। মেয়াদ ছিল ২০২৩, ২ এপ্রিল পর্যন্ত। একুশের বিধানসভা ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হন। নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকে ফের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে ইতিমধ্যেই ভোটের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা হবে বিজ্ঞপ্তি। আগামী ৩ অক্টোবর ভবানীপুর-সহ ৩ আসনের নির্বাচনের ফল ঘোষণা। তার ঠিক পরের দিন রাজ্যসভায় সুস্মিতার ভোট। ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৪টে পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী সুস্মিতা বিধায়ক মমতার ভোটও পেতে চলেছেন।
টুইট করে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, 'মহিলাদের শক্তিশালী করে তোলা ও রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য, যা আমাদের সমাজকে আরও অনেক কিছু অর্জনে সাহায্য করবে'। বর্তমানে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করছেন সুস্মিতা। তাঁর বাবা সন্তোষমোহন দেব ত্রিপুরারই সাংসদ ছিলেন, ফলে ওই রাজ্যকে তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। সেই কারণেই এরাজ্যের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করছেন তিনি।