'ভোগ' এর কভারে রেখা

A G Bengali
বলিউডের এভারগ্রিন অভিনেত্রী রেখার অভিনয়ে হাতে খড়ি হয়েছিল শিশু শিল্পী হিসেবে। পাঁচের দশকের শেষের দিকে। এরপর ১৯৬৯ সালে নায়িকা হিসেবে তিনি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। সাতের দশকের শেষে তিনি তারকা খ্যাতি লাভ করেন। তারপর তাঁকে আর বলিউডে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৬৮ বছর বয়সেও তিনি এখনো এভারগ্রিন। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার কাছে তিনি আজও একইভাবে গ্রহণযোগ্য।


রেখার দীর্ঘ কেরিয়ারে এই প্রথমবার তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন 'ভোগ' ম্যাগাজিনের কাভার গার্ল হিসেবে দেখা গেল। ৬৮ বছর বয়সেও ভোগ অ্যারাবিয়ার রাজকীয় বেশে কাভার গার্ল হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন আকর্ষণীয় গ্ল্যামারাস পোশাকে রেখা ফ্রেমবন্দী হয়েছেন। যা নিয়ে জোর কদমে চলছে চর্চা।

একটি ছবিতে রেখার মাথায় জরির কাজ ভর্তি টুপিসহ সোনালি জরি এবং ছোট পাথরের কাজ করা পোশাকে দেখা যায়। উইংগড লাইনার, মেরুণ লিপস্টিকের সঙ্গে খোঁপা, জড়োয়ার গহনায় নজর কেড়েছেন তিনি। আরেকটি ছবিতে তাকে ইজিপশিয়ান রানির বেশে দেখা যায়। তার মাথায় ময়ূরের পেখমের মতো মুকুট, কানে পেল্লাই সাইজের একটি দুল। পরনে মুকুটের সঙ্গে ম্যাচ করা সোনালি পোশাক, যেখানে নীল-সোনালি জরির কাজ করা কলার এবং হাতা দেখা যাচ্ছে। আরব দেশের রানির বেশেও ধরা দিয়েছেন রেখা। এ ছবিতে তার মাথায় টিকলি, ফুল স্লিভ ব্লাউজের সঙ্গে সোনালি রঙের শাড়িতে যেন তার রূপ আরো ফেটে পড়ছে। পায়ে পরেছেন স্টিলেটো। এ ছবি দেখে কে বলবে তার বয়স ৬৮ বছর?

সাদা আনারকলি, নাগরা জুতার সঙ্গে ম্যাচিং গহনা পরিহিত অবস্থায় আরেকটি ছবিতে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন রেখা। তবে অন্য একটি ছবিতে পশ্চিমা পোশাকে চমক দিয়েছেন রেখা। সাদা কলার এবং হাতাওয়ালা কালো গাউনে নজর কেড়েছেন তিনি। এ লুকে তার মাথায় রয়েছে ব্রিটিশ টুপি। রেখার সাজসজ্জার পেছনের কারিগর হলেন মণীষ মালহোত্রা। তিনি বলেন— ‘এই ফটোশুটের জন্য তার স্টাইলিং এবং ডিজাইনিংয়ের অভিজ্ঞতা আমার কাছে স্মরণীয়। এই কাজটি করতে গিয়ে তার উচ্ছ্বাস আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে। কস্টিউম ফিটিংস নিয়ে তার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছি।’ ১৯৫৪ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন রেখা। তার মায়ের নাম পুষ্পাবল্লী। তিনি তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী ছিলেন। মায়ের কথা স্মরণ করে রেখা ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন— ‘আমার মা ছিলেন আমার পরামর্শদাতা। তিনি এমন একজন নারী ছিলেন যার অনুভূতি ছিল দেবীর মতো। তিনি আমাকে ভদ্রতা এবং ভালোবাসার সঙ্গে বাঁচতে শিখিয়েছেন।’

Find Out More:

Related Articles: