পাঁচ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর মধ্যে তিনটি মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বাকি দু'টি মামলায় তদন্তকারীদের সহযোগিতা করবেন বিরোধী দলনেতা। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দুকে কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তাঁর মর্যাদার কথা বিবেচনা করেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত করতে হবে। সিআইডি বা পুলিশ হঠাৎ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেই তাঁর পক্ষ হাজির হওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে।বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দুকে কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তাঁর মর্যাদার কথা বিবেচনা করেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত করতে হবে। সিআইডি বা পুলিশ হঠাৎ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেই তাঁর পক্ষ হাজির হওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তৎকালীন তৃণমূলের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ভবানীভবনে শুভেন্দুকে তলব করেছিল সিআইডি। কিন্তু তিনি হাজির হননি।
সিআইডি তদন্ত নিয়ে হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতির কথায়,'সিআইডি-কে তদন্তভার দেওয়ার কারণ কী? হঠাৎ সিআইডি লাফিয়ে তদন্ত করতে পারে কি? এই মুহূর্তে আদালত বলবে না তদন্ত নিস্প্রয়োজন। কিন্তু কেন দরকার সেটা তো জানতে হবে। আপনারা এটাই বলতে চাইছেন ঠাকুরঘরে কে?' এই সব প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন বিচারপতি মানথা। তাঁর নির্দেশ, ৬ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে।