ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই বর্ধমানে মাটি উৎসব উদ্বোধনে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী
আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহেই বর্ধমান জেলা কৃষি খামারে রাজ্য মাটি উৎসব উদ্বোধন করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে দিনক্ষণ জানানো না হলেও মুখ্যমন্ত্রীর এই আগমন উপলক্ষ্যে শুরু হয়ে গেছে সাজো সাজো রব। আর মাটি উৎসবের এই প্রস্তুতি দেখতে শনিবার দুপুরে দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কাটিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার।
এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক বিজয় ভারতী সহ জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরাও। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ প্রদীপবাবুর আসার সময় থাকলেও তিনি আসেন বেশ কিছুটা দেরীতে। তাই এদিন মাটি উৎসবের মূল মঞ্চের পরিবর্তে কনকনে ঠাণ্ডায় মাটি উৎসবের মাঠে ঘাসেই বসে পড়েন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেখানেই তাঁরা খোশমেজাজে গল্পের ছলে মাটি উৎসবের প্রস্তুতির বিষয় আলোচনা করতে থাকেন। এরপর প্রদীপ মজুমদার আসার পর মাটি উৎসবের মূল মঞ্চে শুরু হয় বৈঠক।
এদিন এই বৈঠকে মাটি উৎসবের একেবারে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এদিন জেলা পরিষদের সভাধি্পতি শম্পা ধাড়া জানান, মাটি উৎসবের প্রস্তুতির জন্য ১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা রয়েছে। সেই টাকাতেই মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে আধা স্থায়ী কাঠামো তৈরীর ওপর জোড় দেওয়া হয়েছে। মাটি উৎসব প্রাঙ্গণের প্রস্তুতির জন্য ১১ হাজার শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হচ্ছে ১০০ দিনের কাজে। এদিন প্রদীববাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এই মাটি উৎসব। তাই মাটি উৎসব কে ঘিরে কি কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে ব্যাপারে তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি মাটি উৎসব প্রাঙ্গণের নানাভাবে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে, একইসঙ্গে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টির ওপর জোড় দেওয়া হয়েছে।
এজন্য মাটি উৎসব প্রাঙ্গণের চা্রিদিকে প্রচুর পরিমাণে অর্থকরী নারকেল গাছ লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই মাটি উৎসব প্রাঙ্গণকে ঘিরে যাতে বহু মানুষযের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয় তার দিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, মাটি উৎসবের পাশাপাশি এদিন প্রদীপবাবু জেলা কৃষি খামার প্রাঙ্গণে ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম তৈরী হওয়া কৃষি সহায়ক যন্ত্রপাতি সারানোর জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নতুন একটি কেন্দ্র তৈরীর কাজও খতিয়ে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হবে। এখানে ২৪জন উদ্যোগী গ্রামীন যুবক – যুবতীরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। তৈরী করা হয়েছে এজন্য আলাদা হোষ্টেলও।