দিদিকে বলোর পরবর্তী ধাপে,পুরভোটের আগেই সমীক্ষায় নামছে তৃণমূল। শহরের ক্ষেত্রে প্রতি ওয়ার্ড এবং গ্রামীন এলাকার প্রতি ব্লকের বিভিন্ন রাস্তা পিছু ৫ জন করে স্থানীয়র নাম জমা করতে বলা হয়েছে।প্রতি ওয়ার্ড বা ব্লক থেকে আপাতত সর্বাধিক ২০ জনের নাম তালিকা দিতে হবে।আগামী বছর রাজ্যের প্রায় ১০৭ টি পুরসভা নির্বাচন করার কথা।তারা আগে দলের সংগঠনের অবস্থা, মানুষের মধ্যে জনভিত্তি কতটা মজবুত, পাশাপাশি কাউন্সিলারদের এলাকাভিত্তিক ভাবমূর্তি কেমন, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখতেই সমীক্ষায় নামছে তৃণমূল।
আগামী ১৫ই অক্টোবর তৃণমূল ভবনে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে ।সেই বৈঠকে দলের সব ওয়ার্ড ও ব্লকের সভাপতিদের ডাকা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী,যুব সভাপতি তথা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় , এবং তৃণমূলের রণনীতিগুরু প্রশান্ত কিশোর। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে।সূত্রের খবর পুজোর মধ্যেই তৃণমূলের শীর্ষ মহল তরফে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা শহরে প্রতি ব্লক বা ওয়ার্ডে মোটামুটি ৬০-৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৮৫ টি বুথ আছে।গ্রামীন বা শহরতোলি এলাকায় সেই সংখ্যা ব্লক পিছু প্রায় ২০০-২৫০ টি বুথ। সেক্ষেত্রে প্রতি বুথে ৩ জন করে বুথ কর্মী তৈরির পদক্ষেপ ২০২০ এর পুরসভার নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের বুথ স্তরের সংগঠনকে আরো মজবুত করা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সমীক্ষা সম্পর্কে দলের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি ।কেমন হবে এই সমীক্ষা ? প্রতি বুথে নির্দিষ্ট ৩ জন বুথ কর্মীদের দিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হবে।অন্যদিকে প্রতি বুথে ২০ জনের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে, তাদের ফোন করে মনোভাব বোঝার চেষ্ঠা চলবে, কোন কাউন্সিলারের ভাবমূর্তি কেমন? এলাকার তৃণমূল নেতার কেমন আচরণ? কোন কাউন্সিলার কে ভোটের টিকিট দিলে এলাকায় সন্তোষজনক ভোটের ফল হবে,, কোন এলাকায় কি সমস্যা? মানুষ কাকে চাইছেন? এই সমস্ত কিছু তথ্য জমা পড়বে তৃণমুল নেত্রীর কাছে । সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি হবে ভোটের টিকিটের প্রার্থীর তালিকা।