কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানুন

A G Bengali
আগামি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় দক্ষিণবঙ্গে আসতে পারে বর্ষা। একটি অক্ষরেখা রয়েছে গঙ্গাসাগর থেকে অনেকটা দক্ষিনে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে  উড়িষ্যার উপকুলে। দুটি সিস্টেম আপাতত বঙ্গমুখী বলে জানা গিয়েছে। এরফলে আপাতত দুই বঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত দেখা যাবে। এই পরিস্থিতি চলবে এই সপ্তাহের বাকি চারদিন। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আভগাওওা দফতর জানিয়েছে বেলা এগারোটার পর চরমে উঠবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২৩ মিলিমিটার। তবে রাজ্যে আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। 

অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে কর্নাটকের একাংশ। উপকূলীয় এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মেঙ্গালুরুতে ধসের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির জেরে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারী বর্ষণের জেরে উপকূলীয় এলাকা ও মালনাদ অঞ্চলে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটিও। বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়ছে। নিচু এলাকা ও চাষের জমিতে জল জমতে শুরু করেছে। মেঙ্গালুরু জেলা থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে পাঞ্জিকাল্লু গ্রামে ধসের জেরে কাদায় চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছেন, ‘‘বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জেলাগুলির ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে উপকূলীয় জেলা ও কোদাগু এলাকায় ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।’’ উদ্ধারকাজের জন্য জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Find Out More:

Related Articles: