যাদবপুর কাণ্ডে রাজ্যপাল : ‘অভিভাবক হিসাবে গিয়েছি’
চরমে উঠেছে রাজভবন-নবান্ন দ্বৈরথ। গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারের ঘটনা থেকে শুরু
বিবৃতি জারি, রাজ্য রাজনীতিতে যেভাবে বিতর্ক শুরু হয়েছে তার জবাব দিলেন রাজ্যপাল
জগদীপ ধনকড়। রবিবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যাদবপুর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন রাজ্যপাল।
তিনি জানান, আমি শপথ নিয়েছি সংবিধান রক্ষা করার। তা আমি করবই। ছাত্রদের সঙ্গে
কানেক্টেড হতেই হবে। অভিভাবক হিসাবে তাই করেছি।
এবিভিপি আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পা রাখার পরই বিক্ষোভ শুরু হয় তাঁদেরকে ঘিরে। আস্তে সেই বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় বাবুল সুপ্রিয়র জামা। এমনকী চুল ধরেও টানা হয় তাঁর। অগ্নিমিত্রা পল অভিযোগ করেন, তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি বাবুল সুপ্রিয়র হাত ধরে গাড়িতে তুলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বাদার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এরপর পুলিশি ততপরতায় বেরতে সক্ষম হয় রাজ্যপালের গাড়ি।
কিন্তু এই ঘটনার পরই রাজ্যপালের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, সরকারকে না জানিয়ে রাজ্যপাল চলে গিয়েছিলেন যাদবপুরে। সরকারকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সময় দেওয়া হয়নি। এই মন্তব্যের পর রাজভবন বিবৃতি জারি করে। সেখানে বলা হয়, রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন। তারপরও সমস্যা সমাধান নিয়ে কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত তিনি পাননি। এরপর মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলে তিনি যাদবপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।