পুনরায় কার্ফু জারি শ্রীনগরে

frame পুনরায় কার্ফু জারি শ্রীনগরে

Biswas Riya

শ্রীনগরের  ‘শের-ই কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স’ (এসকেআইএমএস)-এ ভর্তি হয়েছিল সৌরার আসরার আহমেদ খান,মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তার পরেও বাঁচানো যায়নি আসরারকে। বুধবার ভোরে তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কবরস্থানে শেষকৃত্যও হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে কোনও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। পুরনো কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কার্ফু জারি করে পুলিশ ভ্যানে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কবরস্তানে। পরিবারকে বলে দেওয়া হয়, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলা যাবে না।

কিন্তু কিভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? স্থানীয়দের মতে ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়, আর তার পরের দিন সৌরায় বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নামেন মানুষ। শান্ত, নম্র ছেলে আসরারও ছিলেন সেখানে। কেউ পাথর ছোড়েনি, আগুন দেয়নি। শুধুই স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী হঠাৎই কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে। কাঁদানে গ্যাসের একটা গোলা খুব কাছ থেকে মাথায় লাগার পরে লুটিয়ে পড়ে আসরার। তবে স্থানীয়দের এই দাবি মানছে না প্রশাসন। সেনা বাহিনীর ১৫ নম্বর কোরের জিওসি-র সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মুনির খান বলেন, ‘‘৪ অগস্টের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কোথাও কোনও অসামরিক নাগরিক মারা যাননি। আমি নিশ্চিত, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটেই জখম হয়েছিল আসরার।’’ ডাক্তাররা অবশ্য জনান্তিকে বলছেন, ‘‘কাঁদানে গ্যাসের গোলার ঘায়ে আসরারের মাথার একটা দিক থেঁতলে গিয়েছিল। তবে প্রশাসনের নির্দেশে তার পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।’’ 

বিক্ষোভ এড়ানোর জন্যই পুনরায় কার্ফু জারি হয়। আসরারের ভাই শাকির খান বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা বিপদ বাড়াতে চাই না। এখনও ওরা দেহ কেড়ে নিতে পারে। ও মারা গিয়েছে ,আত্মীয়রা অনেকেই জানে না।’’

লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিলোঁ দাবি করেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতে সচেষ্ট। ইতিমধ্যে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারও করেছেন তাঁরা। তাদের জেরার ভিডিও ফুটেজও দেখিয়েছেন ।

 


Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More