বেয়ার গ্রিলসের সাথে অক্ষয় ?
বিয়ার গ্রিলস নামে গ্রিলস একটি প্রোগ্রাম করে থাকেন। এটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড নামে প্রচারিত হয়। এছাড়া ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশীটি আল্টিমেট সারভাইভাল নামে প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেখানো হয়, বিয়ার গ্রিলসকে কোন প্রতিকূল পরিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই পরিবেশে প্রতিকূলতার মধ্যে কীভাবে বেঁচে থাকাওতে হয় তা গ্রিলস প্রদর্শন করে। ২০০৬ সালে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড শুরু হয় এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন প্রোগ্রামে পরিণত হয়। বিশ্বজুড়ে ১.২ বিলিয়ন মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখে থাকে।
এই অনুষ্ঠানে দেখায় বিয়ার গ্রিলস সুউচ্চ পর্বত-শৃঙ্গে আরোহণ করছে, হেলিকপ্টার থেকে প্যারাশুট নিয়ে নামছে, প্যারাগ্লাইডিং করছে, বরফ-আবৃত পাহাড়ে উঠছে, গভীর অরণ্যের আগুনের মধ্য দিয়ে দৌড়াচ্ছে, সাপ পোকা-মাকড় কীট-পতঙ্গ খাচ্ছে, মরুভূমির কড়া রোদ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রস্রাব-সিক্ত টিশার্ট দিয়ে মাথা আবৃত করছে, সাপের খোলসের মধ্যে প্রস্রাব জমিয়ে রেখে পান করছে, হাতির মল নিঃসৃত তরল পান করছে, হরিণের বিষ্ঠা খাচ্ছে, কুমিরের সাথে যুদ্ধ করছে, সীলের চামড়াকে পোশাকের মত বানিয়ে সাঁতারের সময় হ্রদের হিমশীতল পানি থেকে পরিত্রাণের জন্য তা পরিধান করছে, জলপ্রপাত থেকে ঝাপিয়ে পড়ছে, বাঁশ দিয়ে ভেলা বানিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে, সাগরের তলদেশে কোন প্রকার যন্ত্রের সাহাযে ছাড়াই মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী শিকার করে খাচ্ছে, প্রতিকূল পরিবেশে আশ্রয় হিসেবে স্থানীয় জিনিস দিয়ে থাকার জায়গা বানাচ্ছে এবং দুর্গম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য এমনি আরো উপায় ও কৌশল সে অবলম্বন করছে।
২০১২ এর মার্চে ডিসকভারি চ্যানেল বিয়ার গ্রিলসের সাথে চুক্তি-সংক্রান্ত মতৈক্যের কারণে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড অনুষ্ঠান নির্মাণ বন্ধ করে। যদিও পরবর্তিতে তিনি আবার ডিসকভারি চ্যানেলের সাথে কাজ করা শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সুপারস্টার রজনীকান্তের পরে অক্ষয়কুমারকে দেখা যাবে বেয়ার গ্রিলসের শোয়ে। অক্ষয় বরাবরই অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন। তার উপরে এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে সফল নায়ক তিনি। সেই কারণেই হয়তো বলিউড থেকে তাঁকে নির্বাচন করা হয়েছে ‘ইনটু দ্য ওয়াইল্ড উইথ বেয়ার গ্রিলস’-এর স্পেশ্যাল এপিসোডের জন্য।
জনপ্রিয় সঞ্চালক বেয়ারের শোয়ে প্রথম ভারতীয় অতিথি ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এপিসোডটি ছিল জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে। এই এপিসোডটি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই নির্মাতারা ভারতের অন্যান্য নামী ব্যক্তিদের নিয়ে শো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত শুট করেছেন বন্দিপুর টাইগার রিজ়ার্ভে। অক্ষয়ও শুট করবেন বন্দিপুরেই। তার জন্য বুধবার তিনি মাইসুরুতে পৌঁছেও যান। ‘ইনটু দ্য ওয়াইল্ড...’-এর পাশাপাশি বেয়ারের আর একটি শো ‘রানিং ওয়াইল্ড উইথ বেয়ার গ্রিলস’ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে চলছে। সেখানে মূলত আন্তর্জাতিক সেলেবরাই অংশ নিয়ে থাকেন।