খোলামেলা উত্তরে রানি
তাঁদের লক্ষ্য ছবির মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো। রানির সোজাসাপটা উত্তর “ ‘মর্দানী’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িতে আমরা এমন সব বিষয় অ্যাড্রেস করতে চাই, যেখানে দেখানো হচ্ছে, একজন মহিলা কী ভাবে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ করে। এই ছবির মধ্য দিয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে চাই”।
ছবির ট্রেলার নিয়ে তাঁর মত “এখন ছোট ছোট ছেলেরা অপরাধ করছে। ছবিতে আমরা সেটাই দেখিয়েছি। এই ছবির ভিলেন ২১ বছর বয়সি একটি ছেলে। কারও মুখ দেখে বোঝা যায় না, সে অপরাধী। এত কম বয়সি ছেলেদের মধ্যে কেন এই প্রবণতা তার নির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করা মুশকিল। অভিভাবকদের উপরে খুব বড় একটা দায়িত্ব বর্তায়। একজন মা তাঁর ছেলেকে কী শেখাচ্ছেন, পুরুষ অভিভাবক বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছেলেটি হয়তো তা দেখেই অনেক কিছু শিখছে। সন্তানের সামনে বাবা-মা একে অপরকে রেসপেক্ট দিচ্ছে কি না, কেমন আচরণ করছে সেটাও জরুরি। অভিভাবকের আচরণের সাইকোলজিক্যাল প্রভাব পড়ে সন্তানের উপরে”।
একজন মা হিসাবে তাঁর মত “সব বাবা-মায়ের মনেই এই ভয়টা থাকে। সমাজ, পরিস্থিতি তো হঠাৎ করে বদলে যাবে না। আর অভিভাবকের পক্ষে সারাক্ষণ সন্তানকে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। ছোটদের সচেতন করতে হবে। আমাদেরও সচেতন হতে হবে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাবে... এটা আশা করতে পারি”।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তাঁর মত “একদম সচেতন সিদ্ধান্ত। কোনও তাগিদও অনুভব করি না”।
ছবির প্রযোজনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য “আমি তো একজন প্রযোজককেই বিয়ে করেছি (হাসি)। তাই ফিল্ম প্রোডাকশনের সঙ্গে জড়িয়েও গিয়েছি। অ্যাক্টিভলি খুব বেশি জড়াই না। বরং সংসার, নিজের কেরিয়ারের পিছনে অনেক বেশি সময় দিই”।
বোন কাজলের সাথে তাঁর সম্পর্কের গসিপ উড়িয়ে দিয়ে বললেন “একদমই নয়। এ রকম কিছু কোনও দিনই ছিল না (হাসি)! আসলে এ বার আমাদের সকলের সময় ছিল। সাধারণত কাজল এক দিন আসত, আমি হয়তো অন্য দিনে। এ বার আমরা পুরো পরিবার একসঙ্গে হয়েছি। আমি তো প্রত্যেক দিনই গিয়েছি। দু’বছর আগে আমার বাবা মারা গিয়েছেন। তার পর পরিবারের সকলে আরও কাছাকাছি চলে আসি। পরিবারের একজন সদস্য চলে গেলে বাকিরা পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে”।
কোলকাতা নিয়ে তিনিও নসটালজিক “রসগোল্লা আর সন্দেশ। এটা প্রতিবারই নিয়ে যাই।মেয়ের স্কুল আছে। তা ছাড়া এ বার আমি একদিনের জন্য এসেছি। ইচ্ছে আছে, তিন-চার দিনের জন্য ওকে নিয়ে এসে কলকাতার কিছু জায়গায় ঘোরাব। তবে একটু বড় হওয়ার পরে আনতে চাই। যাতে বুঝতে পারে, মনে থাকে”।