করোনা ভাইরাসকে কার্যত ঘরবন্দী করলেন একদল বিজ্ঞানী

Biswas Riya

এবার কার্যত করোনা ভাইরাসকেই গৃহবন্দী করলেন কানাডার একদল গবেষক, যাদের মধ্যে একজন বাঙালি বিজ্ঞানীও আছেন। এক্ষেত্রে  কোনও সংক্রমিতকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হচ্ছে, কারণ তাঁর থেকে যাতে অন্যদের শরীরে ভাইরাস না ছড়ায়। এ ক্ষেত্রে আক্রান্তের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে, তা থেকে ভাইরাসটিকে আলাদা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য অবশ্যই গবেষণা। অতিমারি রুখতে ভাইরাসটিকে ভাল করে জানা জরুরি। তার জন্যই এই উদ্যোগ। এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন কানাডার সানিব্রুক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো-র বিজ্ঞানীরা। গবেষকদলে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন চার জন— সানিব্রুকের সামিরা মুবারেকা, টরন্টো ইউনিভার্সিটির রবার্ট কোজ়াক ও ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি-র অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও ক্যারেন মসম্যান।

 

মাইক্রোবায়োলজিস্ট সামিরা বলেন, ‘‘এই অতিমারি রুখতে হলে মোক্ষম ওষুধ চাই। এবং অবিলম্বে চাই। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের কথাও মাথায় রাখতে হবে।’’ কানাডা তথা গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সাহায্য করবে ‘আইসোলেশন’-এ রাখা ভাইরাসটি। ব্যাপারটা খুব সহজ ছিল না। কোজ়াক জানান, তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা একজোটে, যে ভাবে তৃণমূল স্তরে কাজ হয় সেই ভাবে, সবাই মিলে এই কাজ করে দেখিয়েছেন। অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও কোজ়াকের সঙ্গে সহমত। ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করছেন অরিঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসটি আলাদা করেছি আমরা। তা থেকে যা তথ্য পাচ্ছি, গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের জানানো হবে। একযোগে চেষ্টা করলে প্রতিষেধক পেয়ে যাব। ‘টিমওয়ার্ক’ চলবে।’’

 

চিনের বিজ্ঞানীরা প্রথম এই কাজটি করে। তার পর অস্ট্রেলিয়া, ইটালিও ভাইরাসটিকে আলাদা করেছে। বারবার এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হচ্ছে, কারণ প্রতিবার আইসোলেশনে জানা যাচ্ছে, ভাইরাসটি কী ভাবে নিজের চেহারা বদলে ফেলছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাইরাসটি কারও দেহে ঢুকলে, তার শ্বাসযন্ত্রে নিজের প্রতিলিপি গঠন করছে ও বদলে ফেলছে (মিউটেশন) নিজেকে। এর মধ্যে ভাইরাসটির দু’টি স্ট্রেনের ক্রমেই বাড়বাড়ন্ত ঘটছে। একটি উহান থেকে মিলেছে এবং সব চেয়ে ভয়ানক সেটিই।

Find Out More:

Related Articles: