সূত্রের খবর, আগামী ২-৩ দিন রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে রবিবারের পরে আবার পারদপতন হওয়ার সম্ভাবনার কথাও শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনাতেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। উত্তর ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সেখানে প্রভাব ফেললেও এ রাজ্যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিনে এই দুই তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
অন্যদিকে, বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Wrming), পরিবেশ দূষণ (Pollution), নদী ভাঙন (River Bank Erosion), গাছ বাঁচানো ইত্যাদি সব নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন চিন্তিত ও উগ্বিগ্ন, তখন একেবারে উল্টো চিত্র পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parghana) জেলায়। কীভাবে ফুলের নেশাকে অন্য্যান্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তারই উদাহরণ তৈরি করেছেন বসিরহাটের (Basirhat) সংগ্রামপুর শিবাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন দত্ত (Chittaranjan Dutta)। পেশায় তিনি সরকারি চাকুরে (Government Employee)। ৫২ বছরের চিত্তরঞ্জন দত্ত থাকেন সংগ্রামপুর মন্দির পাড়ায়। কীভাবে এই ফুলের নেশ লাগল, তারও একটা কাহিনি রয়েছে। ইতিহাস বললেও ভুল হবে না। ১৯৮৯ সালের কথা। ছাত্র জীবনে আইটিআই (ITI) পড়াশোনা করতেন। সেই কারণে শিয়ালদাহ থেকে বালিগঞ্জে (Sealdah to Bullygunge) যাতায়াত করতে হত নিত্যদিনই। শিয়ালদহে রাস্তার ধারে রঙবেরঙয়ের ফুলের গাছ দেখতেন, সেই থেকেই ফুলের গাছের প্রতি একটা ভালোবাসা জন্মায়। এরপর, ভালোবাসা পরিণত হয় প্যাশন ও নেশায়। আর সেই নেশাতেই বুঁদ হয়ে আছেন বিগত তিন দশক।