ফাঁসির ৭০ বছর পর এল রায়, আসামি নির্দোষ

frame ফাঁসির ৭০ বছর পর এল রায়, আসামি নির্দোষ

Akash Paramanik

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কে না চায়! কিন্তু সকলের পক্ষে কি তা সম্ভব হয়? হয় না৷ আর সেই উদাহরণই পাওয়া গেল দক্ষিণ কোরিয়ায়৷
যদিও যাঁকে নির্দোষ বলে রায় দিল সেদেশের আদালত, সেই ব্যক্তিই শুধু জানতে পারলেন না তাঁর দোষ-মুক্তির ঘটনা৷ কারণ, ৭০ বছর আগে তাঁকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি এখন Divorce Month
চারের দশকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাম সমর্থিত নাগরিক অভ্যুত্থান হয়৷ সেই অভ্যুত্থানে সহায়তা করার জন্য বহু নাগরিক মৃত্যুদণ্ড দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত৷ সেই তালিকায় নাম ছিল চ্যাং হাওয়ান-বংয়ের৷
পরে এনিয়ে সেদেশে একটি ট্রুথ প্যানেলও গঠিত হয়৷ সেখানে উঠে আসে সেই সময় মৃত্যুদণ্ড প্রাপকদের সঠিক তালিকা৷ সেই তালিকায় দেখা যায় চ্যাং-সহ ৪৩৮ জনকে সেই সময় ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল৷
২০০৯ সালে ট্রুথ প্যানেল জানায়, চ্যাং-সহ অন্যদের অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছিল৷ কিন্তু চ্যাং বিদ্রোহীদের সাহায্যও করেছিল৷ কিন্তু ট্রুথ প্যানেলের এই তথ্য মানতে চাননি চ্যাংয়ের মেয়ে৷ তাঁর দাবি ছিল, তাঁর বাবা কখনওই বিদ্রোহীদের সাহায্য করেনি৷
২০১৩ ট্রুথ প্যানেলের রায়ের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন চ্যাংয়ের মেয়ে৷ রায় পুনর্বিবেবচনার আবেদন জানান তিনি৷ সেই আবেদন গৃহীত হয়৷ শুরু হয় শুনানি৷
সম্প্রতি সেই রায় বেরিয়েছে৷ আর তাতে জানানো হয়েছে৷ চ্যাং যে বিদ্রোহীদের সাহায্য করেছিল, তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই৷ তা সত্ত্বেও তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল৷ তাই তিনি নির্দোষ৷
আদালতের রায় চ্যাংয়ের মেয়ে খুশি৷ তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবাকে অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছিল৷ আদালতের রায়ে তাই প্রমাণিত হল৷

Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More