দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল বিনা উইকেটে ৭। শনিবার শুরুতেই আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁকে সাজঘরে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যর্থ হলেন তিন নম্বরে নামা মোমিনুল হকও (৫)। তাঁকে আউট করলেন মহম্মদ সিরাজ। রান পেলেন না অধিনায়ক শাকিবও। জয়দেব উনদকাটের বলে শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন ১৩ রান করে। বিরতির সময় জাকিরের (অপরাজিত ৩৭) সঙ্গে ২২ গজে রয়েছেন লিটন দাস (অপরাজিত শূন্য)। তিনি নামার আগে উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। মাত্র ৯ রান করে তিনি আউট হয়েছেন অক্ষর পটেলের বলে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর। ২ ওভার বল করে ২ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। উনদকাট ১১ রানে ১ উইকেট, সিরাজ ২১ রানে ১ উইকেট এবং অশ্বিন ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।
অন্যদিকে, আবারও চেনা মেজাজে ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১০৫ বলে ৯৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। মারলেন ৭টি ৪ এবং ৫টি ৬। স্ট্রাইক রেট ৮৮.৫৭।একসময় ভারতের স্কোর যখন ৯৪/৪, ঠিক সেইসময় ভারতীয় ব্যাটিং-এর হাল ধরেন ঋষভ পন্থ। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। ১০৫ বলে করেন ৮৭ রান। মারেন ১০টি চার এবং ২টি ছয়। স্ট্রাইক রেট ৮২.৮৬। এই দুজনের অনবদ্য পার্টনারশিপের সৌজন্যে ৩০০-র গন্ডী পেরোতে সক্ষম হয় ভারত। ৩১৪ রানে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস। ব্যাট হাতে ব্যর্থ শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, পূজারা। বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট।এর আগে বাংলাদেশের ইনিংস ২২৭ রানে শেষ হওয়ায় ৮৭ রানের লিড পায় ভারত। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭ রান তোলে। এইমুহূর্তে ৮০ রান পিছনে রয়েছে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের প্রথম কাজই হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই লিডটাকে পেরিয়ে যাওয়া। এরপর যতটা বেশিসম্ভব ভারতকে টার্গেট দেওয়া। অন্যদিকে, ভারতীয় বোলারদের কাজ হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশের সব উইকেট ফেলে দেওয়া।