আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর) দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সেটাও শুধুমাত্র দার্জিলিঙে হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর: আগামী পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দিন এবং রাতের তাপমাত্রার বড়সড় হেরফের হবে না। জেলায় অবশ্য ভোরের দিকে একটা শিরশিরে ভাব অনুভূত হবে। তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না।
অন্যদিকে, দীপাবলির পর থেকে ফের বেড়েছে দিল্লির দূষণের মাত্রা। বায়ু দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য AAP সরকার কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আতশবাজি ফাটিয়ে উত্সব উদযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। দিল্লিতে বাতাসের গুণমান এখনও ‘খুব খারাপ’ বিভাগে পড়ে যার সামগ্রিক একিউআই ৩২৯। সেখানে দিল্লির আনন্দ বিহার এলাকার একিউআই হল ৪০৪৷ আবহাওয়া দফতরের মতে, আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুমান করা হয়েছে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানানো হয়েছে আজ আকাশ পরিষ্কার থাকবে। এর আগে বুধবার, দিল্লির পার্টিকুলেট ম্যাটার (PM) ২.৫ দূষণের মাত্রা ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ঘনমিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম জাতীয় মানের থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি ছিল। মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘খুব খারাপ’ বাতাসের গুণমান রেকর্ড করা হয়। কিন্তু পরের দিন দূষণের মাত্রা ২০১৫ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন ছিল। উষ্ণতা এবং বাতাস এর প্রভাব কমিয়ে দিয়েছে। গত দুই বছরে, দিল্লী এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি দীপাবলি পরবর্তী সময়ে বাতাসের খারাপ গুণমান প্রত্যক্ষ করেছে। নভেম্বরে উদযাপিত হয় দীপাবলি। তীব্র ধোঁয়াশা কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে থাকে কারণ এই সময় খড় পোড়ানো হয় এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং শান্ত বাতাস দূষণকে আটকে রাখে। যেহেতু এই বছরে শীতের আগেই দীপাবলি পালন করা হয়েছিল তাই হালকা উষ্ণতা এবং বাতাসের পরিবেশ আতশবাজি থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী পদার্থের জমা হওয়াকে বাধা দেয় এবং খড় পোড়ানোর প্রভাবকে কমিয়ে দেয়।