রঞ্জি ট্রফির (Ranji) এলিট গ্রুপের প্রথম ম্যাচে উত্তরপ্রদেশকে (Uttarpradesh) ৬ উইকেটে পরাজিত করল বাংলা (Bangla)। যেভাবে ফাইটব্যাক করে বাংলা জিতেছে, তা প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে সব মহলের। ঈশান পোড়েলের (Ishan Porel) দুরন্ত বোলিং, কৌশিক ঘোষ-মনোজ তিওয়ারি-অনুষ্টুপ মজুমদারের অনবদ্য ব্যাটিং-এর সুবাদে জয় পায় বাংলা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯৮ রান করে উত্তরপ্রদেশ। রিঙ্কু সিং করেন সর্বোচ্চ ৭৯ রান। নজরকাড়া প্রত্যাবর্তন করেন ঈশান পোড়েল। তিনি একাই নেন ৫টি উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস।উওরপ্রদেশের বোলার শিভম মাভি নেন ৬টি উইকেট।এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশকে শেষ করতে হয় ২২৭ রানে।২৫৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে জোড় লড়াই করেন বাংলার ব্যাটাররা। অবশেষে কৌশিক ঘোষ(৬৯), অনুষ্টুপ মজুমদার(৮৩) এবং মনোজ তিওয়ারির(৬০) দুরন্ত ব্যাটিং-এর সৌজন্যে জয় পায় বাংলা।
বাংলার এই জয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘একটা দারুণ রঞ্জি ম্যাচ দেখলাম। দুর্দান্ত ব্যাটিং অনুষ্টুপ, মনোজ এবং কৌশিক ঘোষের। প্রথম ইনিংসের শেষে আকাশদীপের রানটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন বাংলার বোলার ঈশান পোড়েল, তার প্রশংসাও করতেই হবে।’
অন্যদিকে, ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ জানিয়েছেন, দুই ফুটবলারের শরীরে অসুস্থতার উপসর্গ রয়েছে। রক্ষণ ভাগের ফুটবলার দায়োত উপামেকানো এবং মাঝমাঠের ফুটবলার আদ্রিয়েঁ হাবিয়েঁর শরীর বেশ খারাপ। মরক্কোর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও খেলেননি তাঁরা। দেশঁ বলেছেন, ‘‘উপামেকানোর পরিস্থিতি তিন দিন বেশ খারাপ ছিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ও। কিংগসলে কোমানও অসুস্থ। আশা করছি আমরা ফাইনালে পুরো শক্তি নিয়েই মাঠে নামতে পারব। সাবধানতা হিসাবেই অসুস্থ ফুটবলারদের আলাদা রাখা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, একই রকম অসুস্থতার কারণে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে পর্তুগালের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি সুইৎজ়ারল্যান্ডের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ব্রাজিলেরও ছ’সাত জন ফুটবলার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রতিযোগিতার প্রথম দিকে।