বুধবার সন্ধেয় জাপানের কাছে ইউরোপের অন্যতম সেরা শক্তিধর জার্মানির পতন দেখার পরে মনে হয়েছিল, স্পেনকেও কি বেগ দিতে পারে কেলর নাবাসের দল? লুইস এনরিকের নতুন প্রজন্মের স্পেন আবার ফেরাল সেই সুখস্মৃতি। গাভি, পেদ্রি, ফেরান তোরেস, ওলমো, আসেনসিয়ো। একুশ শতকের নতুন স্পেনের এরাই কান্ডারি। গোল হল সাতটা, কিন্তু আরও একটু সতর্ক হলে হয়তো স্কোরলাইনটা অনায়াসে ১০-০ হতে পারত। জোড়া গোল করেন ফেরান তোরেস (Ferran Torres)। দানি ওলমো (Dani Olmo), মার্কো অ্যাসেসিও (Marco Asensio), গাভি (Gavi), কার্লোস সোলের (Carlos Soler) একটি করে গোল করেছেন। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে অ্যালভারো মোরাতার (Alvaro Morata) পা থেকে আসে একটি গোল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ফের একটা অঘটনের মুখোমুখি হওয়া তো অনেক দূরের কথা, তোরেস-অ্যাসেসিওরা একেবারে কলার তুলে আল বায়ত স্টেডিয়াম ছাড়লেন।
ম্যাচের ১১ মিনিটেই স্পেনকে এগিয়ে দেন দানি ওলমো। এরপর সময় যত এগিয়েছে, তত বেড়েছে স্পেনের দাপট। ফুটবল দক্ষতায় পেরে না উঠে কোস্টারিকার ফুটবলাররা ঘন ঘন ফাউল করতে থাকেন। ২১ মিনিটে জর্দি আলবার পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান মার্কো অ্যাসেসিও। এরপর ৩১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন অধিনায়ক ফেরান তোরেস। ৪৩ মিনিটে অ্যাসেসিও একটি সহজ গোলের সুযোগ পেলেও মিস করেন। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন ৪-০ করেন তোরেস। এসময় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু পাল্টা আক্রমণ গড়ে তোলে কোস্টারিকা। কিন্তু গোল হয়নি। বরং ৭৪ মিনিটে গাভীর পা থেকে পঞ্চম গোলটি পায় স্পেন। তাদের গোল উৎসব যেন থামছিলই না। ৯০ মিনিটে গোলের সংখ্যা হাফ ডজন পূর্ণ করেন কার্লোস সোলের। এরপর ৯২ মিনিটে দলের হয়ে সপ্তম গোল করেন অ্যালভারো মোরাতা। ফলে এই ম্যাচে কোস্টারিকাকে সাত গোলের মালা পড়িয়ে চলতি কাপ যুদ্ধে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডকে ছাড়িয়ে গেল স্পেন। ইরানের বিরুদ্ধে ৬-২ ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড।