গত কয়েকমাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন বাংলার প্রবাদপ্রতীম কোচ তথা কিংবদন্তী প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক। শেষ কয়েকটাদিন শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁছেছিল। তবে এদিন সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুভাষ ভৌমিক। যে হেতু তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাই একবালপুরের নার্সিংহোম থেকেই কোভিডবিধি মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পূর্ণ হবে। সে ক্ষেত্রে নার্সিংহোম থেকে সরাসরি হয়ত তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকার এই খবর জানিয়েছেন।
গত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস নিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বুকে সংক্রমণ নিয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে। ২৩ বছর আগে তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরু মেনে কোচ হিসেবে পথ চলা শুরু করেছিলেন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন ক্লাবে সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করিয়েছেন। তবে কোচ হিসেবে সুভাষের সেরা সাফল্য ২০০৩ সালে আশিয়ান ট্রফি। সুভাষ ভৌমিকের এই আকম্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারতীয় ফুটবল মহল।
ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর সময়ে ফুটবল ময়দানে একের পর এক ফুল ফুটিয়ে গিয়েছিলেন। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দাপিয়ে খেলেছেন। ভারতের হয়ে জিতেছেন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক। খেলোয়াড় হিসেবে সুভাষ ভোমিকের অধ্যায়টা যতটা রঙিন ক্যানভাসে বাধানো ছিল তার চেয়ে বেশি সাফল্য তিনি পেয়েছেন কোচ হিসেবে। খেলোয়াড় হিসেবে সুভাষ ভোমিকের অধ্যায়টা যতটা রঙিন ক্যানভাসে বাধানো ছিল তার চেয়ে বেশি সাফল্য তিনি পেয়েছেন কোচ হিসেবে।