সাতসকালে কেঁপে উঠল সুমাত্রা
ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই তার ভূ-অবস্থানগত কারণে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় 'রিং অফ ফায়ার' জোনে পড়ে এই দেশ। তাই অনবরত ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ লেগেই থাকে এই দেশে।
গত ২১ নভেম্বর পশ্চিম জাভায় ৫.৬ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্পে প্রায় ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভূমিধসে এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে অধিকাংশের জীবনহানি হয়। এর আগে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রা দ্বীপে সবথেকে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। ভারত মহাসাগরে সুনামিতে সব দেশ মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেবার।
গত ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী জাকার্তা। (Indonesian Capital Jakarta) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৬। ইন্দোনেশিয়ার ওয়েদার অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্স এজেন্সির তরফে (BMKG) এই খবর জানানো হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জাকার্তা থেকে দক্ষিণপূর্বে ৭৫ কিলোমিটার দূরে জাভার সিয়াঞ্জুর (Cianjur)-এ ১০ কিমি (৬.২ মাইল) মাটির গভীর।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল ভূমিকম্পের জেরে, প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬০০-র বেশি এবং আহত হন তিনশোর বেশি। যদিও বেসরকারি সূত্রে দাবি, এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। তবে সুনামির (Tsunami) কোনও আশঙ্কা ছিল না। চলতি বছরে এটাই প্রথম ভূমিকম্প হল ইন্দোনেশিয়ায়। গত বছর পাঁচটি ভূমিকম্পের সাক্ষী ছিল দেশ।
জানা গিয়েছে, কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভূমিকম্পটি স্থায়ী হয়েছিল। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জাকার্তার সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টে বহু কার্যালয় সঙ্গে সঙ্গে খালি করে দেওয়া হয়। লোকজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং কেউ কেউ আবার বিল্ডিংয়ের ভিতরে থাকাকালীন অবস্থায় আসবাব নড়তে দেখেন।