আগামী বছর পূর্বের দুই রাজ্য ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে ভোট। দুই রাজ্যেই প্রার্থী দিতে চায় তৃণমূল। এখন থেকেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন দলনেত্রী মমতা। ত্রিপুরার পাশাপাশি মেঘালয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেনি ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তার পরেও পাহাড়ি এই রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী দল তারাই। কংগ্রেস ছেড়ে ১১ জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এ হেন মেঘালয়ে অভিষেককে নিয়ে মমতার সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে আগে থেকেই রয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। তিনি মেঘালয়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। সোমবার দুপুরে শিলঙের উমরোই বিমানবন্দরে নামতেই দলনেত্রী মমতাকে স্বাগত জানান সমর্থকরা। মেঘালয়ের বিরোধী নেতা মুকুল সাংমা বলেন, ‘‘সর্বভারতীয় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বার এখানে এসেছেন। আমরা খুব খুশি। রাজ্যের সমস্ত তৃণমূল নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।’’
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া কথা রেখেছেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তিনি গুজরাটে বিজেপিকে রেকর্ড ভোটে জিতিয়েছেন। প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে জিতে নিজেও রেকর্ড গড়েছেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ফলে ফের একবার তাঁর উপরই আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন। আজ দুপুর ২ টোয় গান্ধীনগরের হেলিপ্যাড ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। সোমবারের এই মেগা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ দেশের ২০টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এছাড়াও ছিলেন অনেক সাধু সন্ত। ভূপেন্দ্র প্যাটেলের পাশাপাশি এদিন শপথ নেন আরও ২৫ জন মন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী সহ সকলকেই শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত।