রোগী-প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভুয়ো বিল করা বা একই প্যাকেজে দু’বার বিল তৈরির বিষয়েও সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। সোমবার ‘প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশন’-এর পঞ্চম বার্ষিক রাজ্য সম্মেলনে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিল এবং ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইন অনুযায়ী পরিকাঠামোয় খামতি দেখা যাচ্ছে। সেগুলি সংশোধন করতে হবে। আমরা নার্সিংহোমের পিছনে পুলিশগিরি করতে চাই না। নিজেরাই বিষয়গুলি ঠিক করে নিলে স্বাস্থ্য দফতরকেও জরিমানা করতে হবে না।’’ রাজ্যের প্রায় ১৬০০ নার্সিংহোম ও মাঝারি মাপের হাসপাতাল রয়েছে ওই সংগঠনে। তাদের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি এ দিন সম্মেলনে হাজির ছিলেন।
অন্যদিকে, চাকরির দাবিতে নার্সদের বিক্ষোভ (Nurse Agitattion) ঘিরে ধুন্ধুমার স্বাস্থ্য ভবনের ভিতরে। নার্সদের আটক করার সময় ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক আন্দোলনকারী। তাঁকে প্রাখমিক শুশ্রূষার পর বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিসের তরফে। নার্সদের বিক্ষোভে তুলকালাম। স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের হঠাতে আসেন ডিসি। ডিসি-র সঙ্গেও ধস্তাধস্তি বেঁধে যান আন্দোলনকারীদের। তাঁদের অভিযোগ, ৩ বছর অপেক্ষার পরেও এখনও পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়নি তাঁদের। ২০১৮ সাল থেকে অপেক্ষা করেও কোনও সুরাহা হয়নি। এরইমধ্যে ২০২১-এ পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ পেয়ে গিয়েছেন। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে নার্স নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে সোমবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে। মঙ্গলবার সেই বিক্ষোভের আঁচ চরমে পৌঁছয়। স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে সেই বিক্ষোভ আটকাতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাধে নার্সদের। বাধা দিতে গিয়ে এক পুলিস আধিকারিক রাস্তায় পড়েও যান। উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তবে প্রথমে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোত করলেও বেলা বাড়তেই নিরাত্তার ঘেরাটোপ টপকে স্বাস্থ্যভবনের গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত নার্সরা।