পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির নামাঙ্কিত ‘রিট্রিভার্সিপ’ পুরস্কার দেওয়া চালু হল এই বছর থেকে। প্রথম বছর বাংলার সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সোমবার কবিগুরুর স্মরণে ‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী তথা বাংলা আকাদেমির চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা তথা সারস্বত সাধনা করে চলেছেন, তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি। প্রথম বছর বাংলার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের মতামত নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থকে মাথায় রেখে সার্বিক ভাবে তাঁর সাহিত্য কীর্তির জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।’’ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওই পুরস্কার গ্রহণ করেননি। ব্রাত্য মুখ্যমন্ত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করার সময় তাঁকে মাঝ পথে থামিয়ে দেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ব্রাত্যকে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন ব্রাত্য। এর পর ইন্দ্রনীল নিজেই ব্রাত্যের হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, প্রতি ৩ বছর অন্তর এই পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথম বছর 'কবিতাবিতান' কাব্যগ্রন্থের জন্য, এই পুরস্কার পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সমস্ত সাহিত্যিকদের সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা, লেখিকা ফ্রাঁসো ভট্টাচার্যর হাতে। লেখিকা এখন প্যারিসে থাকেন। তাঁর হয়ে পুরষ্কার গ্রহণ করেন বোন।