কলকাতা পুরসভার সাতটি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি বালিগঞ্জ বিধানসভা। ৬০, ৬১, ৬৪, ৬৫, ৬৮, ৬৯ ও ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা। ৬০,৬১,৬৪ ও ৬৫ ওয়ার্ডে আধিক্য সংখ্যালঘু ভোটারদের। আর সেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওয়ার্ডের দু'টি নিজেদের দখলে নিয়েছেন বামেরা। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি দাবি করছে, ভোটদাতারা তৃণমূল সরকারের ভ্রান্ত সংখ্যালঘু নীতির কথা বুঝতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি বগটুই-কাণ্ড তাঁদের চোখ খুলে দিয়েছে। এ বারের ভোটে বালিগঞ্জে শুধু দু’টি ওয়ার্ডে জেতাই নয়, অন্য দু’টি সংখ্যালঘু ওয়ার্ডেও ভাল ভোট পেয়েছে তারা। তথ্য দিয়ে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম ৮,৪৭৪ ভোট পেয়েছিল। ডিসেম্বরের পুরভোটে সেই সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১,২৪২-এ। আর বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে সেই ভোট বেড়ে হল ৩০,৮১৮।
অন্যদিকে, ‘বিহারীবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহাকে ‘বহিরাগত’ বলে দুষেছিল বিজেপি। তুমুল লড়াই দিতে গেরুয়া গড়ের উপনির্বাচনে প্রবল ছোটাছুটি করেছিলেন অগ্নিমিত্র পাল। কিন্তু, গত দু’বারের জেতা আসনেই ধরাশায়ী পদ্ম। শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলে প্রথমবারের জন্য শুধু জোড়া-ফুলই ওড়ালেন না, জিতলেন রেকর্ড ভোটে। ‘বিহারীবাবু’র জয়ের মার্জিন ২.৯৬ লাখ। পরাজয়ের পরই দলকে বার্তা দিলেন অগ্নিমিত্রা। টুইটে জুড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। কথা দিলেন, হারলেও বাংলার গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াইয়ে তাঁর লড়াই জারি থাকবে। আসানসোলে ঘরের মেয়ের বড় হার। নিঃসন্দেহে যা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। জানেন অগ্নিমিত্রা। গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়েই এ দিন বিজেপি প্রার্তী বলেন, ‘এটাকে একটা স্টেপিং স্টোন হিসাবে দেখে আমাদের ২০২৪ এর জন্য তৈরি হতে হবে। শুধু আসানসোলে নয় সব জায়গায়। এত সন্ত্রাস। কিন্তু এই সন্ত্রাস থাকবেই। তৃণমূল মানেই ছাপ্পা, মানুষ খুন। কিন্তু এটার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কিছু করতে গেলে তৃণমূলের এই সন্ত্রাসকে ছাপিয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্ত করতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।’