ভেঙে দেওয়া হল পাক সংসদ

A G Bengali
অনাস্থা-ভোট হলে হার যে নিশ্চিত, বুঝে গিয়েছিলেন আগেই। জল্পনা চলছিল, সেই হারের আগে তিনি নিজে থেকেই ইস্তফা দিয়ে দেন কি না। কিন্তু ইমরান খান তা করেননি। উল্টে, বিরোধীদের নিশ্চিত জয়ের অঙ্ক মোক্ষম চালে থমকে দিলেন এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে। বোঝা গেল, বিরোধীদের গদি দখলের যাত্রাভঙ্গ করতে গত কয়েক দিন ধরেই নিজের বোলিং স্ট্র্যাটেজি গুছিয়ে নিচ্ছিলেন প্রাক্তন পেশ বোলার। জোরে বোলার হলেও ইমরানের মধ্যে স্পিনারের ধূর্ততাও রয়েছে। এটা প্রমাণ হল রাজনীতির খেলাতেও। 

ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। রবিবার পাক সংসদে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। এর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই তিনি জানান, প্রেসিডেন্টের কাছে অধিবেশন ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব যাতে দেশবাসীর উপরই দেওয়া হয়, এজন্য দ্রুত নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি। ইমরানের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই ভেঙে দেওয়া হল পাক সংসদ। এবং সরকারের তরফে ঘোষণা করা হল আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে সে দেশে।

রবিবারই ইমরানের বিরুদ্ধে পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে অধিবেশন শুরু হলে ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেন। তিনি জানান, অনাস্থা প্রস্তাব দেশের সংবিধানবিরুদ্ধ ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও তা ঝুঁকি তৈরি করছে। ডেপুটি স্পিকারের এই ঘোষণার পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন-- সরকারের পতনের জন্য যে চক্রান্ত করা হচ্ছিল, তা ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। আপনারাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন, কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা  বিদেশিরা নয়। প্রেসিডেন্টের কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। গণতান্ত্রিক পথেই দেশের শাসন চলুক। আপনারা নির্বাচনের জন্য় প্রস্তুত থাকুন।

Find Out More:

Related Articles: