মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্ট(Karnataka High Court)-র তরফে হিজাব মামলার চূড়ান্ত রায়দান করার পরই পাঁচ পড়ুয়া এদিন সুপ্রিম কোর্টে জরুরিভিত্তিক শুনানির আর্জি জানান। তবে শীর্ষ আদালতের তরফে এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। হোলির ছুটি পার হওয়ার পর এই সংক্রান্ত আর্জি শুনানির বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল হিজাব বিতর্ক (Hijab Controversy)-কে কেন্দ্র করে। কর্নাটকের গণ্ডি পার করেও এই বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। গতকালই কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে রায় ঘোষণা করে বলা হয়, ধর্মাচরণে অপরিহার্য নয় হিজাব।
অন্যদিকে, পঞ্জাব প্রদেশের কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মণিপুর, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের প্রত্যেকটিতেই ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তার মধ্যে আবার পঞ্জাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে কংগ্রেস। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, ওই পাঁচ নির্বাচনী রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। পঞ্জাবে কংগ্রেস জমানার পরিসমাপ্তি এবং আম আদমি পার্টির (আপ) উত্থানের জন্য সিধুকেই প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী করা হচ্ছিল দলের অন্দরে। নির্বাচনের আগেও তাঁর সঙ্গে চরণজিত্ চন্নীর দূরত্বের কথা স্পষ্ট ভাবেই ফুটে উঠেছিল। এর পর আবার আপ–এর জয় প্রসঙ্গে জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন পঞ্জাবের মানুষ আপ-কে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও ভুল হয়নি। এর পরই সিধু কংগ্রেস নেতৃত্বের কুনজরে পড়েন বলেও মনে করা হচ্ছিল।