গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দিল আদালত। নির্দেশ খারিজ করল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। বদলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছিল কি না বা হলে কী ভাবে হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখবে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। একই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতিকে মাথায় রেখে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গড়ে এই মামলার অনুসন্ধান করতে হবে।
জানা গিয়েছে, অনুসন্ধানকারী দলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষে থাকছেন আশুতোষ ঘোষ। থাকছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সহ-সচিব (প্রশাসন) পারমিতা রায়। সেইসঙ্গেই থাকছেন হাইকোর্টের একজন আইনজীবী অরুণাভ ব্যানার্জি। অনুসন্ধানকারী দলকে ২ মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, আদালত আরও জানিয়েছে যে, দলের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আগামীকালের মধ্যে সমস্ত সুপারিশপত্র হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতেও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও প্রচুর নিয়োগ হয়েছে বলে মামলা দায়ের হয় আদালতে। প্রাথমিক ভাবে ওই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল কমিশনের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে কমিশন আদালতে জানায়, ওই নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও সুপারিশ তারা করেনি। এরপর অভিতেই জড়িয়ে পড়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নাম। আদালতে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন পর্ষদের আইনজীবীও। তিনি জানান, পর্ষদ নিজে থেকে কোনও নিয়োগ করেনি। কমিশনের সুপারিশ মেনেই হয়েছে যাবতীয় নিয়োগ। এরপরই একক বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল।