তৃণমূলকে কটাক্ষ বিপ্লব দেবের

A G Bengali
আগরতলা কর্পোরেশনও হাতছাড়া হয়েছে সিপিএমের। তাছাড়া ১৩ পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েতই বিজেপির দখলে। আর এই প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বললেন, ‘বারবার ত্রিপুরার মানুষকে আক্রমণ করা, আজই তারই জবাব দিয়েছে ত্রিপুরাবাসী’। তাঁর সংযোজন, “ছোট রাজ্য, ছোট মানুষ করে দেখা হচ্ছিল। তাই সমস্ত ত্রিপুরাবাসীর এই জিৎ। আর যারা ত্রিপুরাবাসীকে লাগাতার অপমান করেছেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছে ত্রিপুরা”। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে পুরভোটেও এই জয়ের প্রভাব পড়বে। তাঁর কথায়, আমরা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি মেনে রাজনীতি করি। পশ্চিমবাংলা ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক এবং নিষ্ঠার ভূমি। যে ভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্র, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, আশুতোষ মুখার্জি, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, কার কার নাম নেব…! আমি এটাই বলতে চাইব, সেই ভূমির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনীতি করা উচিত”। তৃণমূলের উদ্দেশে বিপ্লব দেবের কটাক্ষ, ‘বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি যাতে পদধূলিত না হয়, সেটা দেখুক শাসক দল, নজর রাখুক তারা, যার জবাব ত্রিপুরাবাসী দিয়েছে’।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ফলাফল বেরনোর পর টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘অত্যন্ত সামান্য উপস্থিতি থেকে একটি দলের পক্ষে পুরভোটে সফল ভাবে নির্বাচনে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার।’ কুণাল ঘোষ টুইটারে লেখেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের দু’মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।’

Find Out More:

Related Articles: