প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই বৃহস্পতিবার দীপাবলির সন্ধ্যায় ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গত ২৫ অক্টোবর সকালে সকালে বাড়িতেই অসুস্থ বোধ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল।
১৯৭২ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। জরুরি অবস্থার বিতর্কিত পর্বে সুব্রত ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বে। ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ তিনি ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। মেয়র পদে থাকার শেষ দিকে মমতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে সুব্রত। তিনি নিজের মঞ্চ গড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে পুরভোটে লড়েন। ‘ঘড়ি’ চিহ্নে পুরভোট লড়েন। জেতেনও। কিন্তু হেরে যায় তাঁর দল। ফলে কলকাতার মেয়র পদে আর ফেরা হয়নি সুব্রতের। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবেই কংগ্রেসে ফিরে যান সুব্রত। তাঁকে কার্যনির্বাহী সভাপতিও করা হয়। কিন্তু ২০১০ সালে আবার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন তাঁর। সেই থেকে তিনি তৃণমূলেই। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিন দফাতেই সুব্রতকে গুরুত্বপূর্ণ দফতরের ভার দেন।
উল্লেখ্যে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো বলে পরিচিত কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো। সেই পুজো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। সেই পুজোর গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধেই থাকে। ফলে পুজোর সময়ে শারীরিক যে ধকল পড়েছিল, তার প্রভাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবনতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।