গভীর নিম্নচাপের জেরে আগামী ৩ দিন প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। প্রবল বর্ষণের জেরে বাড়তে পারে নদী বা সমুদ্রের জলস্তর। যে কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী সহ গোসাবা নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে সমস্ত মৎস্যজীবী এই মুহূর্তে গভীর সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরকে দ্রুত ফিরে আসারও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, বেলাগাম বৃষ্টির মধ্যেই ফল, শাকসব্জির বাজারদর আগুন। তার ছ্যাঁকায় নাজেহাল গৃহস্থেরা অল্পস্বল্প বাজার সেরেই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। গৃহস্থের মতোই স্বস্তিতে নেই দোকানি থেকে প্রতিমাশিল্পীরা। অসময়ের বৃষ্টিতে তাঁদের মাথায় হাত। লক্ষ্মীপুজোর আগের ক’দিন বিক্রিবাটা জমবে তো? বরুণদেবের চোখরাঙানিতে আশঙ্কায় বিক্রেতারা। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টির মধ্যেই বাজারে বেরিয়েছেন ক্রেতারা। তবে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ বা পশ্চিম মেদিনীপুর—ফল, শাকসব্জি থেকে লক্ষ্মীপ্রতিমার দর শুনে আঁতকে উঠেছেন তাঁরা। করোনার আবহে গত বছর পুজোর বাজার তেমন জমেনি। চলতি বছর আশায় বুক বেঁধেছেন দোকানিরা। তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি তাতেও জল ঢেলে দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের বাজারে গত বছরের তুলনায় এ বার লক্ষ্মীপ্রতিমার দাম বেশ বেড়েছে। ছোট মূর্তিই ১০০ টাকার আশপাশে। বড় আকারের সাজের প্রতিমার দাম ৬০০-৮০০। খড়ের মূর্তির দর আরও বেশি। তবে ফলের দর তেমন বাড়েনি বলে দোকানিদের দাবি। তাতেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। আপেল বা নাসপাতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি ডজন। শাঁকালু প্রতি কেজি ১০০ টাকা। শশা এবং খেজুর কেজি প্রতি যথাক্রমে ৫০-৬০ ও ১২০ টাকা।