২০১৯ লোকসভায় বাংলায় ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়ে ১৮টি আসন জিতলেও, মোদী টু মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি। বাবুল সুপ্রিয়কে মন্ত্রিত্বে রেখে দেওয়ার পাশাপাশি মাত্র একজনকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। মোদী টু মন্ত্রিসভায় প্রথম সম্প্রসারণে বাবুল, দেবশ্রী বাদ পড়লেও এলেন নতুন চারজন। তবে এবারও কেউূ পূর্ণমন্ত্রী হলেন না। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী, শান্তনু ঠাকুরকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় জাহাজ, জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও নিশীথ প্রামাণিককে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী, শান্তনু ঠাকুরকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় জাহাজ, জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও নিশীথ প্রামাণিককে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। মানে মোদী মন্ত্রিসভায় অমিত শাহর ডেপুটি হচ্ছেন কোচবিহারের ৩৫ বছরের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
২০১৪ লোকসভায় জিতে প্রথমবার দেশের নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলা থেকে জেতা দুজন সাংসদকেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। আসানসোল থেকে জেতা বাবুল সুপ্রিয় ও দার্জিলিং থেকে জেতা সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মোদীর প্রথম মন্ত্রিসভার রদবদল-সম্প্রসারণেও প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণন্ত্রী হতে পারেননি বাবুলরা। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এই নিয়ে বাবুলদের হাফ মন্ত্রী বলে কটাক্ষও করেন। এবারও সেই কটাক্ষ নিশীথদের শুনতে হবে সেটা নিশ্চিত।