ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের পরিবারের, অর্থাৎ আনন্দপুরের হোসেনপুর এলাকার ২১৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দাদের এখন দিন কাটছে কার্যত ‘একঘরে’ হয়ে। এর মধ্যে এক দুপুরে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, তিনতলা ওই বাড়িটির পুরোটাই সিসি ক্যামেরায় ঘেরা। দেওয়ালে ঝুলছে বাড়ির সদস্যদের নাম। বাড়ির একমাত্র ছেলে দেবাঞ্জন প্রতিষেধক-দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়ার পরে এখন ওই বাড়িতে রয়েছেন দেবাঞ্জনের বাবা মনোরঞ্জন দেব, তাঁর স্ত্রী বন্দনা দেব, তাঁদের বছর পঁচিশের মেয়ে দেবস্মিতা ও একটি গ্রেট ডেন কুকুর। গত কয়েক দিনে এঁদের কাউকেই বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
অন্যদিকে, কেবলমাত্র মানুষ নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় Yaas-কে ঘিরেও প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব। এই তথ্য প্রকাশ্য়ে আসতেই চোখ ছানাবড়া গোয়েন্দাদের। তদন্তের স্বার্থে সম্প্রতি দেবাঞ্জনের কসবার অফিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের থেকেই জানা গিয়েছে, ইয়াস নিয়ে কর্মীদের রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভুয়ো IAS। নগরোন্নয়ন দফতরের (Urban Planning Development) নাম ভাঙিয়ে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তাঁদের পেশ করা সেই রিপোর্ট, বই আকারে সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক বিপর্যয় কত ধরনের হয়? এই নিয়ে কেউ রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন । কেউ আবার ইয়াসের সময় জল জমে যাওয়া নিয়ে এবং গাছ উপড়ে পড়া নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। কোনও কর্মী ঝুলন্ত তার নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন। শুধু তাই নয়, কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, কর্মীদের তাও রিপোর্ট আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ভুয়ো IAS। তাঁদের এই সমস্ত রিপোর্ট Urban Planning Development বিভাগে বই আকারে সংগ্রহ করে রাখা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।