একপ্রকার দলে তোলপাড় হওয়ার পরই এবার কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে। সোমবার ভোটগ্রহণ। লড়াইয়ের ময়দানে বর্ষীয়ান মল্লিকার্জুন খার্গে ও শশী থারুর। কংগ্রেসের ৯ হাজার প্রতিনিধি আগামিকাল তাদের পছন্দমতো প্রার্থী বেছে নেবেন। দিল্লির পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে কংগ্রেসের অফিসে চলবে ভোটগ্রহণ। এত বছর পর এবার ফের গান্ধী পবিরারের বাইরের কেউ সভাপতি নির্বাচিত হবেন। ভোট নেওয়া হবে গোপন ব্যালটে। ফলপ্রকাশ ১৯ অক্টোবর অর্থাত্ বুধবার। কর্ণাটকের বেল্লারিতে ভোট দেবেন রাহুল গান্ধী। সভাপতি নির্বাচন নিয়ে খার্গে বলেন, সবাই জানে একবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে আমি উঠে এসেছি। তাই সবাইকে ভোটের জন্য আবেদন করছি। অন্যদিকে, শশী থারুর বলেন, সোনিয়া গান্ধী বলেছেন দলের জন্য এই ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি লড়াই করুন। আমি নিরপেক্ষ থাকব। যে সভাপতি পদে লড়াই করতে চায় সে লড়াই করতে পারে।
তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই ধারাবাহিকতা ভাঙতে চলেছে। এই আবহে রাজনৈতিক মহলে নির্বাচন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে। তবে সবাই প্রায় মেনে নিয়েছেন নির্বাচনে মল্লিকার্জুনেরই পাল্লা ভারী। এই আবহে নির্বাচন শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে খাড়গে শিবিরকে ঘুরপথে নিশানা করেছেন থারুর। তাঁর দাবি, সনিয়া গান্ধী নাকি খাড়গেকেই সভাপতি দেখতে চান একথা বলে তাঁর অনুগামীরা সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। দলের নেতা-কর্মীদের হৃদয়ের ডাকে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শশী বলেন, ‘শেষে যেন কংগ্রেসের জয় হয়।’ এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও কংগ্রেসের রাশ গান্ধীর হাতেই থাকবে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। গান্ধীদেরকে সঙ্গে নিয়েই নতুন সভাপতিকে দল পরিচালনার কাজ করতে হবে। এই আবহে নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘গান্ধীরা এই দেশের জন্য ভালো করেছে, এবং তাঁদের পরামর্শে দল উপকৃত হবে। তাই আমি অবশ্যই তাঁদের পরামর্শ এবং সমর্থন চাইব। এতে লজ্জার কিছু নেই। আপনাদের (মিডিয়া) পরামর্শ থেকে যদি দল উপকৃত হয়, আমি তাও গ্রহণ করব। গান্ধীরা এই দলের জন্য কাজ করেছেন এবং তাঁদের পরামর্শ নেওয়া আমার কর্তব্য।’