শীতলকুচি কাণ্ডে এবার কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে তলব। দেবশিস ধরকে তলব করল সিআইডি। ১৮ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁকে ভবানীভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আগেই দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গুলি চালনার ঘটনার পর পুলিশ সুপার হিসাবে সেই সময় কী পদক্ষেপ করেছিলেন দেবাশিস, সেটিও জানতে চাওয়া হতে পারে বলে খবর। এপ্রিল মাসে শীতলখুচি-কাণ্ডের পর তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্তভার নেওয়ার পর ইতিমধ্যে তৎকালীন পুলিশ সুপার হিসাবে দেবাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি, জেরা করা হয়েছে মাথাভাঙা থানার আইসিকেও। এর আগে ছ’জন সিআইএসএফ জওয়ানকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও তাঁরা আসেননি।
১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনকি পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় কোচবিহারের পুলিস সুপার ছিলেন দেবশিস ধর। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিকের ব্যালিস্টিক টিম। এর আগে ১৭ মে সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দলও ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
কোচবিহারের শীতলখুচিতে গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ পর্বের ভোটগ্রহণের সময় মাথাভাঙা ব্লকের জোরপাটকির আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অশান্তির সময় গুলি চালায় সিআইএসএফ। ঘটনায় ৪ জন নিহত হন। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, ১২৬ নম্বর বুথে বুক তাক করেই গুলি করা হয়েছিল। বুথের দরজায় গুলি লেগেছিল। দরজা ভেদ করে সেই গুলি ক্লাসের ভিতরের ব্ল্যাকবোর্ডের ক্ষতস্থান তৈরি করে।