করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীই চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay) মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি করেছিলেন। ৩ মাস তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার কয়েক দিন পরই আলাপনের বদলির চিঠি এসেছে। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিবকে এখনই অব্যাহতি দেবে না রাজ্য সরকার। আপত্তির কথা জানিয়ে আজই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আলাপনের কাছে চিঠি আসার পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই বিষয়ে উচ্চবাচ্য করেননি মমতা। প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি আলাপনও। ঘটনাচক্রে, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিঘা সফরে রয়েছেন। শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব— দু’জনেরই কলকাতায় ফেরার কথা। এখন দেখার, কলকাতায় ফিরে বা দিঘা থেকে কলকাতায় রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন কি না। প্রসঙ্গত, শাসক তৃণমূল শিবির শুক্রবার রাত থেকেই বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্ররা পর পর টুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীকে বিঁধেছেন। কিন্তু মুখ্যসচিবকে রাজ্য সরকার (মুখ্যমন্ত্রী) কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মিবর্গ মন্তর্কে গিয়ে রিপোর্ট করার ছাড়পত্র দেবেন কি না, তা একান্ত ভাবেই একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। প্রশাসনের একাংশের অভিমত, আলাপন কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে সময় চেয়ে নিতে পারেন। নবান্ন ওই বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিতে পারে। কিন্তু সবই নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর উপর।