কপিল দেবকেও ছাপিয়ে গেলেন। ভারতের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকার ছয় নম্বরে উঠে এলেন 'চাকদহ এক্সপ্রেস। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ২৫৪ তম উইকেট নেন। ১১ তম ওভারের শেষ বলে অ্যালিস ক্যাপসেকে আউট করেন। বলটা শর্ট করেছিলেন ঝুলন। কভার পয়েন্ট সোজা হারলিন দেওলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন ক্যাপসি। ধুঁকতে-ধুঁকতে নয়, শেষটা একেবারে শিখরে থেকে করলেন ঝুলন। শনিবার লর্ডসে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে দু'উইকেট নেন। দুটি মেডেনও দেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা বোলার। যে মেডেনটা আসে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ওভারে। একদিনের ক্রিকেটে ২৫৫টি উইকেটে থামলেন ঝুলন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়াল সবার উপরে ৩৫৫ উইকেটে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ জোনের ব্যাটার রবি তেজার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর যশস্বী জয়সওয়ালকে প্রথমে আম্পায়ার সতর্ক করেন। পশ্চিমাঞ্চলের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকেও বিষয়টি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয়। এবং যশস্বী জয়সওয়ালকে তিনি শান্ত হতে এবং তার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছিলেন। রাহানে এমন কী রবি তেজার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। এবং সাময়িক ভাবে মনে হয়েছিল, বিষয়টির সমাধান হয়ে গিয়েছে। যাইহোক ৫৭তম ওভারে ফের যশস্বী জয়সওয়ালের অপরাধের পুনরাবৃত্তি করতে দেখা যায়। এবং আম্পায়ররা রীতিমতো বিরক্ত হন এবং রাহানেকে ডাকেন। এর পরে রাহানে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা জয়সওয়ালকে মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যেতে বলেন। বদলি ফিল্ডার হিসেবে আনা হয়েছিল সত্যজিৎ বাচ্চাকে। ম্যাচের পরে রাহানে বলেছিলেন, ‘যাই হোক না কেন আপনাকে প্রতিপক্ষ প্লেয়ার, আম্পায়ার এবং ম্যাচের কর্মকর্তাদের সম্মান করতে হবে। এ ভাবেই ক্রিকেট খেলতে হয়। কিছু পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। সেই পরিস্থিতিকে সেই পদ্ধতিতে মোকাবেলা করতে হয়েছিল, আমি মনে করি এটি সঠিক কল ছিল।’ জয়সওয়ালকে অবশ্য ৬৫তম ওভারে মাঠে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। প্রায় ৮ ওভারের পর।