প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীদের তান্ডবকে সমর্থন জানালেন দিলীপ , সোমেন বললেন , “এটা রাজনীতি নয়, স্টান্টচমক দেওয়া হচ্ছে।”

frame প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীদের তান্ডবকে সমর্থন জানালেন দিলীপ , সোমেন বললেন , “এটা রাজনীতি নয়, স্টান্টচমক দেওয়া হচ্ছে।”

Akash Paramanik
শনিবার হঠাৎ সন্ধ্যার সময় বিজেপির যুবমোর্চার কর্মী প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে । হামলার নিন্দা সব জায়গা করা হয়েছে । প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন , “এটা রাজনীতি নয়, স্টান্ট…চমক দেওয়া হচ্ছে।”
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যুব মোর্চার এই হামলাকে ঘুরিয়ে সমর্থন করেছেন । শনিবার বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “রাফাল নিয়ে কংগ্রেস দুই গালে চড় খেয়েছে। কোর্ট থেকেও খেয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও খেয়েছে। আর যিনি ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যুব মোর্চার কর্মীরা কেন গিয়েছেন বুঝতে পারছি না। ওদের আছেটা কি! ফসিলের উপর পেরেক মেরে লাভ নেই! তবে যা করেছেন ঠিকই করেছেন।” দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
উল্লেখ্য, শনিবার রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল শুরু করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই মিছিল এগিয়ে যায় বিধানভবনের কাছে। সেখানে চালানো হয় তাণ্ডব।
বিধানভবনের গেটে থাকা ৭০ বছরের আব্দুল জব্বারকে শারীরিকভাবে প্রহৃত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয় কালি। বিধান রায়ের মূর্তিতেও ঢিল মারে বিজেপির সমর্থকরা। কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে দিতে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি পুলিশ সামাল দিতে গেলে তাদের গায়েও ছেটানো হয় কালি।
যদিও পরে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করা হয় বিজেপি সমর্থকদের। দুপুরে বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।


Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More