শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকার আর হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে । গতকাল শুক্রবারের পর আজ শনিবারও রনং দেহি মূর্তিতে দেখা গেল শিবসেনা নেতৃত্বকে । এমনকি মুঘলদের মতো হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ এনেছে শিবসেনা ।
গতকাল বিজেপির এক নেতা হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি সরকার গড়তে না পারলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে মহারাষ্ট্রে ।
তাদের স্পষ্ট মত, এই ‘হুমকি’ অসাংবিধানিক, গণতন্ত্রের পক্ষে অশুভ। শিবসেনার পক্ষ থেকে দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-য় লেখা হয়েছে, ‘আইন বা সংবিধান কারও দাসানুদাস নয়। মহারাষ্ট্রের মানুষ খুব ভাল জানেন, এই অচলাবস্থার জন্যে আমরা দায়ী নই। হুমকিগুলি মুঘল জমানার মতো শোনাচ্ছে। আমরা আইন ভাঙব না, সংবিধান লঙ্ঘন করব না।’
দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে না, তাঁদের মুখেই আবার রাষ্ট্রপতির শাসনের হুমকি। এদের আচরণ এমন, যেন শাসক হিসেবই তারা জন্মেছে।’
যুযুধান দুইপক্ষের মধ্যে যখন এই উষ্ণ সওয়াল জবাব, তখন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করেছে। মরাঠা স্ট্রংম্যান শুক্রবার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘শিবসেনা বলছে ৫০-৫০ ফর্মুলার প্রতিশ্রুতি পেয়েই ভোট ময়দানে নেমেছিল। বিজেপির উচিত সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়ার সময়ে ১৫ দিন মতো সময় নিয়েছিলাম।’’
শোনা গিয়েছিল, শুক্রবার টেলিফোনে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এদিন সেই জল্পনা উড়িয়ে দেন পওয়ার। তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা বিবেচনা করেই স্থির করেছি বিরোধীর আসনে বসব। জনাদেশ আমাদের সেই কাজই করতে বলেছে।’’ তাঁর সরেস মন্তব্য, ‘‘কোনও পক্ষের সঙ্গেই আমার কথা হয়নি। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে শেষ কথাবার্তা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের আগে।’’