‘‘দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে.’’ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার অভিযোগে বিশিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া

Paramanik Akash
রামের নামে হুঙ্কার দিয়ে গণপিটুনির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন দেশের প্রথম সারির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা । কিন্ত দুঃখের হলেও সত্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার অপরাধে দেশের বিশিষ্ট ৫০ জন সন্তানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা মামলা দায়ের করা হয়েছে । গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারের মুজফ্ফরপুরের সদর পুলিশ স্টেশনে এই মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা । এখবর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া পর সব মহলেই তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে । এ নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও সাংসদ রাহুল গান্ধী ।
তিনি বলেছেন , ‘‘দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে.’’
বন্দিপুর অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যান চলাচল নিষিদ্ধ করা নিয়ে এখন তেতে রয়েছে কর্নাটক। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে এই মুহূর্তে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডেই রয়েছেন রাহুল গাঁধী। সেখানে ওই ৫০ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এফআইআর দায়ের প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দেশে কী চলছে, সে ব্যাপারে প্রত্যেকেই অবগত। কোনও গোপনীয়তা নেই। এমনকি গোটা বিশ্বও জেনে গিয়েছে। ক্রমশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছি আমরা।’’
মোদী সরকার সমালোচনা শুনতে পারে না বলেও এ দিন অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বললে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আজকাল জেলে পুরে দেওয়া হয়। পড়তে হয় হামলার মুখেও। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও।’’
রাহুল আরও বলেন, ‘‘এক দিকে ধারণা জন্মেছে যে, এক ব্যক্তি-ই দেশ শাসন করবেন। দেশে একটি মাত্র আদর্শই থাকবে। বাকিদের মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হবে। আর অন্য দিকে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি এবং বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। দেশে এখন এই যুদ্ধই চলছে।’’
উল্লেখ্য , দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, চিত্র পরিচালক মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনাগাল, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী অপর্ণা সেন-সহ মোট ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক। ওই চিঠিতে অনুরোধ করা হয় , মুসলিম, দলিত এবং সংখ্যালঘুদের এ ভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।


Find Out More:

Related Articles: