থানার ভিতর তিন মহিলাকে বিবস্ত্র করে সারারাত মারধরের অভিযোগ উঠল অসমে , এই অপারেশনের নেতৃত্ব দেন বুরহা থানার পুলিশকর্তা মহেন্দ্র শর্মা। অভিযোগের তির এই পুলিশকর্তা ও তাঁর এক মহিলা সহকর্মীর দিকেই।

frame থানার ভিতর তিন মহিলাকে বিবস্ত্র করে সারারাত মারধরের অভিযোগ উঠল অসমে , এই অপারেশনের নেতৃত্ব দেন বুরহা থানার পুলিশকর্তা মহেন্দ্র শর্মা। অভিযোগের তির এই পুলিশকর্তা ও তাঁর এক মহিলা সহকর্মীর দিকেই।

Paramanik Akash
এনআরসি নিয়ে এমনিতেই সমগ্র দেশজুড়ে অসম রাজ্য শিরোনামে আছে । এবার আবার শিরোনামে এল তিন মহিলার উপর নারকীয় অত্যাচারের কারণে । এই নারকীয় ও পাশবিক অত্যাচার কোনো বিশেষ দুস্কৃতির কাজ নয় । এটা করেছে যাদের দায়িত্ব সমাজকে নিরাপদে রাখা , মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা তাদের হাতে নির্যাতিতা হলেন অসমের তিন মহিলা । ঘটনায় হতচকিত সমগ্র ভারত ।
ডিজিটাল আনন্দবাজারের খবর থেকে জানা যাচ্ছে ,থানার ভিতর তিন মহিলাকে বিবস্ত্র করে সারারাত মারধরের অভিযোগ উঠল অসমে। জেরার নামে সজোরে লাথি কষানো হল এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে। অসমের দারং জেলার একটি থানা। নৃশংস অত্যচারের ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার ও গর্ভস্থ সন্তানের। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
গত ৮ সেপ্টেম্বরে ঘটা এই ঘটনার খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ওই নিগৃহীতা মহিলাদের একজন মুখ খোলায়। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে অসম প্রশাসন। ঠিক কী ঘটেছিল ৮ সেপ্টেম্বর রাতে? অপহরণের অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর মিনুওয়ারা বেগম, সানুয়ারা ও রুমেলাকে গুয়াহাটির ছয় মাইল এলাকায় নিজেদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই অপারেশনের নেতৃত্ব দেন বুরহা থানার পুলিশকর্তা মহেন্দ্র শর্মা। অভিযোগের তির এই পুলিশকর্তা ও তাঁর এক মহিলা সহকর্মীর দিকেই। অভিযোগকারী ওই মহিলার দাবি, ‘‘আমাদের নগ্ন করে অত্যাচার করা হয়েছে। ওই পুলিশ অফিসার আমাদের গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছেন জোর করে। পিস্তল উঁচিয়ে শাসিয়েছেন, অভিযোগ করলে তার ফল ভাল হবে না।’’
কী কারণে তাদের বাড়ি থেকে তুলে আনা হল তা বুঝেও উঠতে পারেননি ওই তিন মহিলা। অত্যাচারের মুখে বারবার কাকুতি মিনতি করেও লাভ হয়নি। অভিযোগকারিনী বলছেন, ‘‘আমার বোন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওর পেটে বুট দিয়ে আঘাত করা হয়। তখনই ওর রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। জেলের ভিতরই ওই গর্ভস্থ সন্তানটির মৃত্যু হয়। এই অত্যাচারের পাশাপাশি আমাদের একটি সাদা পাতায় সই করতে বাধ্যও করা হয়।’’
৯ সেপ্টেম্বর ছাড়া পান ওই তিন মহিলা। ১০ সেপ্টেম্বর অভিযোগ জানাতে গেলে দারং থানা তাঁকে ফেরত পাঠায়। এই সময়ে আসরে নামেন দারং জেলার পুলিশ সুপার অমৃত ভুঁইয়া। তিনি একজন একজন ডেপুটি পুলিশ সুপারকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি মঙ্গলবার জানান, ১১ সেপ্টেম্বর তারা অভিযোগের জানতে পারেন।ওই মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। রিপোর্টে যদি নিগ্রহ প্রমাণিত হয়, তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিষয়টি অবশ্য এখানেই থেমে থাকেনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই অভিযোগ জানতে পেরে ডিআইজি ব্রজেনজিৎ সিংহকে দায়িত্ব দিয়েছেন গোটা ঘটনাটির তদন্ত করার। সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে মহেন্দ্র শর্মা ও তাঁর সহকর্মীকে। 

Find Out More:

Related Articles: