এখনো স্বস্তি ফিরল না উপত্যকায়

frame এখনো স্বস্তি ফিরল না উপত্যকায়

Biswas Riya

রাত পেরলেই ঈদ।কাজেই সেজন্য কিছু কেনাকাটা আবশ্যিক। আর সেই প্রয়োজনেই কিছু মানুষ বেরিয়েছিলেন ঘরের বাইরে।কিছু দোকান পাটও খুলেছিল। ছিল এটিএম এর সামনে লম্বা লাইন।গ্যাস ও কাঠের দোকানেও ছিল লম্বা লাইন।ভেড়া ছাগল এলেও কেনার লোক নেই।কিন্তু বেলা ১০ টা বাজতে না বাজতেই হঠাৎ পুলিশের ভ্যান থেকে শুরু হল মাইকে ঘোষণা ‘‘এখনই সবাই বাড়ি ফিরে যান। ফের কার্ফু শুরু হচ্ছে।’’

মুহূর্তের মধ্যে ভিড় উধাও, দোকানের শাটার বন্ধ। সাধারণ মানুষ পুলিশকে গালাগাল দিতে দিতে চললেন বাড়ির পথে।

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন উপত্যকার মানুষ যাতে ঈদ পালন করতে পারে সেজন্য সরকার সবরকমভাবে সাহায্য করবে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বলেন কেন্দ্রীয় শাসনে উপত্যকার ভালো হবে।সেখানের উন্নয়ন হবে। শিল্প হবে, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে পর্যটন বাড়বে। আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে লম্বা ফিরিস্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরের মানুষ যাতে স্বস্তিতে ইদ পালন করতে পারেন তার জন্য কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছুটির দিনেও ব্যাঙ্ক খুলে রাখা হয়েছে। ৩,৬৯৭টি রেশন দোকানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি হচ্ছে। ছ’টি ‘সব্জিমন্ডি’ বা পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত কাঁচা আনাজ পাঠানো হয়েছে। আড়াই লক্ষ ভেড়া গিয়েছে, মানুষ যাতে কোরবানির জন্য তা কিনতে পারেন। ইদগা-র ময়দানও তৈরি। উপত্যকার বাইরে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ক’দিন চলা নম্বরের সঙ্গে আরও কিছু ‘মদদগার’  (হেল্পলাইন) নম্বর যোগ করা হয়েছে।

ঈদের আগের দিন কিছু পশু আসলেও টা কেনার জন্য লোক নেই।পকেটে তো টাকাই নেই ।ব্যাঙ্ক খোলা ছুটির দিনেও। কিন্তু টাকা কোথায়? এক বাসিন্দা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে জানান ‘‘পকেটে একটা টাকাও নেই। ইদে ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে হয়। কিন্তু আমার এখন চিন্তা— খাব কী!’’

এ সবের মধ্যেই রবিবার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক কাশ্মীরবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলেছেন, এই ইদ কাশ্মীরে সুদিন আনবে। সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়াবে।

ঈদের জমায়েতের পর সম্ভাব্য বিক্ষোভ দমনের জন্য সবরকম ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 


Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More