সরকারী সুবিধা পেতে গেলে হতে হবে বখাটে ?
হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মতানুযায়ী এবার দলটার শুদ্ধিকরন দরকার, তিনি জানিয়েছেন যারা বিভিন্ন প্রকল্প থেকে “কাটমানি” তুলবে তাদেরকে তিনি আর নিজের দলে চাননা, পরিবর্তে তিনি স্বাগত জানান পাড়ার “বখাটে” ছেলেদের । তারা মন দিয়ে তৃনমূল করবে এবং পরিবর্তে তিনিও সরকারের নানা কাজে সুযোগ সুবিধা মত জায়গা করে দেবেন, লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর এই পন্থাতেই দলের শুদ্ধিকরন ঘটাতে চাইছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর কথানুযায়ী “ আবর্জনা বেরিয়ে যাক । দলটা পরিষ্কার হবে , পবিত্র হবে, নতুন করে শুরু করছি আমরা , এ ভাবেই এগোব ”।
রাজ্য লোকসভা ভোটের পর বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তৃনমূল বিজেপির কাছে , তারপর থেকেই দফায় দফায় ইস্তফা এবং বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক এক অন্য মাত্রা পেয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর মতানুযায়ী যারা তৃনমূলে থেকে অন্যায় করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছেন তারাই এখন রং বদল করছেন । এই অংশ চলে গেলে সেটা দলের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে বলেই তিনি মনে করছেন ।কাঁচরাপাড়ায় শুক্রবার দলীয় কর্মীসভায় তিনি তার মনোভাব পরিষ্কার ভাবেই ব্যক্ত করে বলেন যে, দলের নতুন সৈনিক হিসাবে তিনি এলাকার গরিব বখাটে ছেলদের গড়ে তুলতে চান ।
মুকুল রায়ের এলাকা কাঁচরাপাড়ার মিলননগরে এদিন তিনি মন্ত্যব করেছেন “ যারা চুরি করবে , মানুষের প্রকল্প থেকে কাটমানি নেবে, তাদের ধরতে গেলে চলে যাবে , ডাকাতি করবে আর ধরা পড়লে অন্য দলে যাবে , আমি বলছি যার যার যাওয়ার আছে দয়া করে চলে যান , সাতদিন সময় দিলাম , আমার দলটা শুদ্ধ হবে পবিত্র হবে । ” তিনি বোঝাতে তৎপর , একমাত্র অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই দল তৈরী করেছিলেন । প্রথম দিকে তিনি ভয়ে থাকতেন দুষ্টু গোরুতে না ছোট গাছ খেয়ে নেয় । কিন্তু সেই চারাগাছ এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে, দলের মধ্যে এখন নানা রকমের লোক, তার মধ্যে থেকে অসৎ অংশটা বেরিয়ে গেলে তা দলের জন্যই মঙ্গল ।
তাঁর মন্তব্য আনুযায়ী “আম চাই বখাটে ছেলেরা আসুক । পাড়ায় পাড়ায় যারা আড্ডা মারে , তারা চলে আসুক , স্থানীয় নেতাদের বলব , গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের বায়োডাটা তৈরী করে আমাক পাঠাবে , আমি এদের কোথাও না কোথাও ঢুকিয়ে দেব ”।এহেন মন্তব্যের জেরে বাংলার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে , রাজ্য্যবাসাীর একাংশের মতানুযায়ী একজন মুখ্যমন্ত্রী বা একজন দলনেত্রীর এই ধরনের মন্তব্য কি খুব বিবেচনাপূর্ণ ? উঠছে প্রশ্ন ।